সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে তাঁতীদলের কর্মী সভায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন ইয়ুথ ফর সুন্দরবন শ্যামনগর উপজেলা কমিটি গঠন: সুন্দরবনের প্লাস্টিক দূষণ রোধে ৩১ সদস্যের নেতৃত্ব ঘোষণা সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ অভিযানে নিখোঁজ পর্যটকের মৃ*তদেহ উদ্ধার বাঁচতে চাই লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হত দরিদ্র বিধবা অভিরোন দীর্ঘ বছরেও পাননি বিধবা ভাতার কার্ড কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরে বিএনপির উদ্যোগে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ বিভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি দেবহাটার ইছামতী নদীর ভেড়ি বাঁধ পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম বজলুর রশীদ দেবহাটাকে পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন করার অভিযানে নেমেছে বিডি ক্লিন শ্যামনগর গাবুরা চৌদ্দরশি ব্রিজ সংলগ্ন থেকে আগ্নেয় অস্ত্রের সরঞ্জামাদীসহ আটক ২ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গর্ভবতী নারী মৃত্যু
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ আর উন্নয়নের বাংলাদেশ মানেই প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বললেন—— জগলুল হায়দার এমপি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ আর উন্নয়নের বাংলাদেশ মানেই প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বললেন—— জগলুল হায়দার এমপি

বিশেষ প্রতিনিধি :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেশব্যাপী উন্নয়ন ও আওয়ামীলীগ সরকারের ধারাবাহিক সাফল্য প্রচারে নুরনগর ইউনিয়নে ৬,৭,৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার বলেন,” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর উন্নয়নের বাংলাদেশ মানেই প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বপ্ন ছিল আজকে সেটি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ২৮টি জেলা আজকে সরাসরি পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ঢাকায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। বর্তমান সরকার বাংলার কোটি কোটি মানুষের মাঝে বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদান করেছেন যেটা উন্নত বিশ্ব করতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হাজার হাজার ভূমিহীনদের মাঝে গৃহ প্রদান করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীব অসহায়দের মাঝে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন,স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী (ফেয়ার প্রাইস ) সরবরাহ করেছেন। এলাকার রাস্তাঘাট সহ সার্বিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। বছর শেষে কোমলমতি বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন নতুন বই প্রদান করেছেন। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের রোল মডেল। ভবিষ্যতে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত বর্তমান সরকারের পক্ষেই প্রদান করবেন। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারই পারে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের উপর সবসময় ভরসা রাখবেন।” এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এমপি জগলুল হায়দার।”

গত ইং ২ রা ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতাক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। নূরনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর, কালীগঞ্জের রতনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান এম আলীম আল রাজী টোকন, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা (বাবু), বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মজিদ, শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), ফুলবাড়ী ফাতেমা জগলুুল প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ মন্ডল, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম সাইদুর রহমান, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অরুন মূখার্জী, নূরনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মাজেদ সরদার, ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জি এম রবিউল ইসলাম, ইউপি সদস্য সাঈদুজ্জামান বাবু , ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওদুদ গাজী, সহ উপজেলার নূরনগর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সমার্থকবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নূরনগর ইউনিয়ন তাতীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মেহেদী হাসান।

উঠান বৈঠক শুরু হওয়ার সাথে সাথে শত শত মানুষ সেখানে উপস্থিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে উঠান বৈঠকটিতে জনতার ঢল নামে এবং সেটি জনসভায় পরিণত হয়।

এম আব্দুর রহমান বাবু বিশেষ প্রতিনিধি :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেশব্যাপী উন্নয়ন ও আওয়ামীলীগ সরকারের ধারাবাহিক সাফল্য প্রচারে নুরনগর ইউনিয়নে ৬,৭,৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার বলেন,” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর উন্নয়নের বাংলাদেশ মানেই প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বপ্ন ছিল আজকে সেটি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ২৮টি জেলা আজকে সরাসরি পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ঢাকায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। বর্তমান সরকার বাংলার কোটি কোটি মানুষের মাঝে বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদান করেছেন যেটা উন্নত বিশ্ব করতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হাজার হাজার ভূমিহীনদের মাঝে গৃহ প্রদান করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীব অসহায়দের মাঝে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন,স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী (ফেয়ার প্রাইস ) সরবরাহ করেছেন। এলাকার রাস্তাঘাট সহ সার্বিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। বছর শেষে কোমলমতি বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন নতুন বই প্রদান করেছেন। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের রোল মডেল। ভবিষ্যতে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত বর্তমান সরকারের পক্ষেই প্রদান করবেন। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারই পারে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের উপর সবসময় ভরসা রাখবেন।” এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এমপি জগলুল হায়দার।”

গত ইং ২ রা ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতাক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। নূরনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর, কালীগঞ্জের রতনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান এম আলীম আল রাজী টোকন, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা (বাবু), বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মজিদ, শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), ফুলবাড়ী ফাতেমা জগলুুল প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ মন্ডল, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম সাইদুর রহমান, নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অরুন মূখার্জী, নূরনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মাজেদ সরদার, ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জি এম রবিউল ইসলাম, ইউপি সদস্য সাঈদুজ্জামান বাবু , ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওদুদ গাজী, সহ উপজেলার নূরনগর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সমার্থকবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নূরনগর ইউনিয়ন তাতীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মেহেদী হাসান।

উঠান বৈঠক শুরু হওয়ার সাথে সাথে শত শত মানুষ সেখানে উপস্থিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে উঠান বৈঠকটিতে জনতার ঢল নামে এবং সেটি জনসভায় পরিণত হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

আল-হুদা মালী,

সাতক্ষীরা জেলা, শ্যামনগর উপজেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন গাবুরা। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে চারিদিকে নদীবেষ্টিত এই ইউনিয়নটির অবস্থান এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। গাবুরায় নেই কোনো আধুনিক মানের সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতাল।

গাবুরার মানুষের স্থানীয়ভাবে একমাত্র ভরসা গাবুরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও ৪টি ক্লিনিক এবং গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা। ক্লিনিকগুলোতে নেই কোনো অভিজ্ঞ কর্মী ও পর্যাপ্ত ঔষধ। সরকারিভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ মানুষকে সামান্য অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য যেতে হয় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।্য রোগীকে নিয়ে পাড়ি দিতে হয় এলাকার দীর্ঘ আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা ও নদী পথে। যার ফলে অনেক রোগীর স্বজনরা দুর্গম ও দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া কষ্টসাধ্য হ‌ওয়ায় রোগীকে হাসপাতালে নিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েন। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনেক দূরে হ‌ওয়ায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত ও অধিক সময়ের কারণে গর্ভবতী নারীর পথে গর্ভপাত, মৃত্যু এবং অন্যান্য রোগীদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয়রা বলেন, গাবুরা ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের কাছাকাছি হ‌ওয়ায় ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙ্গন ও লবণাক্ততায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায়ই আক্রান্ত হয়ে থাকে।২০০৯ সালের ২৫ শে ঘূর্ণিঝড় আইলা গাবুরাকে বিধ্বস্ত করায় সে সময় চিকিৎসার অভাবে অনেক প্রাণহানিও ঘটেছিল। এমতাবস্থায় দুর্যোগপ্রবণ গাবুরাতে একটি ২৫ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সরকারি হাসপাতাল জরুরিভিত্তিতে নির্মাণের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এতে করে নৌকায় বা দূরের পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদর বা জেলা শহরে যেতে হবে না এবং সময়মত সুচিকিৎসা পাওয়া গেলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হারও কমবে বলে আশা করেন তারা। এছাড়াও গাবুরার পার্শ্ববর্তী পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের‌ও চিকিৎসার জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। সুতরাং গাবুরাতে একটি হাসপাতাল হলে তারাও এখানে সহজে চিকিৎসার জন্য আসতে পারবে বলে মনে করেন।

গাবুরার জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল জানান,উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা বর্তমানে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাবে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবাও সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। আমরা বারবার প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি হাসপাতালের দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একটি সরকারি হাসপাতাল হলে এই অঞ্চলের মানুষ প্রকৃত অর্থে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবে।
আরো বলেন, অনেক সময় জরুরি রোগীকে নদী পার হয়ে শ্যামনগরে নিয়ে যেতে হয়, যা সময় সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। গাবুরা ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ হলে উপকূলীয় এলাকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা স্থানীয়দের।

একজন স্থানীয় সমাজকর্মী বলেন, “গাবুরা ইউনিয়নটি চারদিক দিয়ে নদী বেষ্টিত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত কষ্টকর। জরুরি সময়ে রোগী নৌকা বা ট্রলারের উপর নির্ভর করতে হয়, যার ফলে অনেক সময় রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। তিনি আরো বলেন, আমরা বহু বছর ধরে হাসপাতালের দাবি জানিয়ে আসছি। গাবুরার মানুষেরও তো বাঁচার অধিকার আছে! দ্রুত সরকারি হাসপাতাল স্থাপন না হলে এখানে স্বাস্থ্যসেবার সংকট আরও ভয়াবহ হবে। এ বিষয়ে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি,এম, মাছুদুল আলম বলেন, “গাবুরার মানুষদের চিকিৎসা পাওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। উপকূলীয় এই অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন অসুস্থ ও গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়স্করা। তিনি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে এ বিষয়ে জোর দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। কিন্তু আমি মনে করি গাবুরা ইউনিয়নে একটি ২৫ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল স্থাপন করলে গাবুরা ও কাছাকাছি ইউনয়ের মানুষের দীর্ঘদিনের চিকিৎসা সংকট দূর হবে।

গাবুরা ৫০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের দাবি

কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কালিগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের এক শ্রমিক খুলনায় কাজ করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঠিকাদারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচ না পেয়ে আফজান হোসেন নামের এক শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ঘটনায় আহত শ্রমিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নারায়নপুর গ্রামের মৃত জামাত মোড়লের ছেলে আহত শ্রমিক মোঃ আফজাল হোসেন (৪০)। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, সোনালি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আব্দুল হাকিম সরদার (৫৮) এবং তার লেবার সর্দার মোঃ ইকবাল হোসেন (৪০) এর অধীনে কাজ করতে গিয়ে গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ভুক্তভোগী জানান, খুলনা শহরের বউবাজার এলাকায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালীন অসাবধানতাবশত তিনি তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ঠিকাদার পক্ষ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে মাত্র তিন দিন চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেই সময় ঠিকাদার হাকিম সরদার প্রতিশ্রুতি দেন যে, পরবর্তীতে চিকিৎসার পূর্ণ খরচ বহন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তা বা খোঁজখবর নেয়নি। বর্তমানে আফজাল হোসেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “২৬ অক্টোবর বিকেলে আমি চিকিৎসা খরচ চাওয়ার জন্য ঠিকাদার হাকিম সরদার ও লেবার সর্দার ইকবালের কাছে গেলে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং বলে ‘তোর কিছু করার থাকলে করে নিস। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আমি তাকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম, কিছু খরচও দিয়েছি। বাড়ি নিয়ে এসে আরো দেবো বলেছিলাম।” এরপর তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা বলেন, “একজন দিনমজুর শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এখন ঠিকাদার চিকিৎসা ব্যয় না দিলে তা অমানবিক আচরণ ছাড়া কিছু নয়। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। আহত শ্রমিক আফজাল হোসেন বর্তমানে চিকিৎসাহীন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মানবিক সংগঠনগুলোর কাছে চিকিৎসা সহায়তা ও ন্যায়বিচার কামনা করেছেন।

কালিগঞ্জে শ্রমিক আফজাল চিকিৎসা খরচ না পেয়ে মানবেতর জীবনের অভিযোগ

শ্যামনগর প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত বেড না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে অভিভাবকরা। হাসপাতালে মাত্র ৬টি শিশু বেড থাকায় প্রতিদিনই অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা হচ্ছেন বারান্দা ও সিঁড়িতে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের সিঁড়ি ও বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে বেশ কয়েকজন শিশু রোগী। তাদের পাশে বসে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া শিশুর অভিভাবক মনজুরা খাতুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই হাসপাতালে রবিবার দুপুরে আমার ভাতিজা কে চিকিৎসা করাতে আসলে দেখা যায় বেড না থাকার কারণে রুগিকে রাখতে হয়েছে হাসপাতালের সিঁড়িতে, তিনি আরো বলেন শিশুদের যদি এভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে কতটুকু সুস্থতা বয়ে নিয়ে আসবে প্রশ্ন রয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুদের জন্য নির্ধারিত বেড সংখ্যা খুবই সীমিত। প্রতিদিন ২৫-৩০ জন পর্যন্ত শিশু রোগী ভর্তি হয়। বাধ্য হয়ে তাদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বারান্দা ও সিঁড়িতে।
 শিশু রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও সিঁড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানএর কাছে জানতে তিনি বলেন প্রতিদিন যেভাবে রোগের চাপ বেড়ে যাচ্ছে আমাদের স্বল্প পরিসরে বেড হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে, চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতলের তিন তলার সিঁড়ির যে ছাঁদ করা আছে ওই ছাদের উপরে বেড করে দিয়ে রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি দাবি করে বলেন আমাদের নতুন ভবনটি যদি ছেড়ে দিত কর্তৃপক্ষ তাহলে আমাদের এই হিমশিম খেতে হতো না। তিনি আরো বলেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ শিশু বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার সেভাবে নাই একজন শুধুমাত্র মেডিকেল অফিসার দিয়ে আমি সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা দ্রুত শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আলাদা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বেড সংকটে ভোগান্তি শিশু রোগীরা অভিযোগ ও রোগের স্বজনদের

এম এ হালিম ঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তঘেঁষা সাতক্ষীরা জেলা বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষে বিস্তৃত এক অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভূমি। এ জেলার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মনোরম ও আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে রয়েছে মান্দারবাড়িয়া, পুটনির দ্বীপ, বঙ্গবন্ধুর চর, হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চরসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক এলাকা, যা প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
বঙ্গোপসাগরের বিশাল ঢেউ ও সুন্দরবনের ঘন সবুজ গাছপালা মিলিয়ে এ অঞ্চল যেন এক জীবন্ত চিত্রপট। মান্দারবাড়িয়া সৈকতকে বলা হয় “পশ্চিম সুন্দরবনের লুকানো সমুদ্রসৈকত”। এখানকার শান্ত পরিবেশ, বালুময় চর ও কেওড়া গাছের সারি দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।
অপরদিকে, পুটনির দ্বীপ এখন নতুন করে পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে গড়ে উঠছে। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা এই দ্বীপে রয়েছে অসংখ্য সামুদ্রিক পাখি, বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক উদ্ভিদরাজি।
বঙ্গবন্ধুর চর এবং হিরণ পয়েন্টকেও এখন পর্যটনবান্ধব এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে এখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও নৌপথে ভ্রমণ ব্যবস্থার পরিকল্পনা চলছে। হিরণ পয়েন্ট ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে বিরল প্রজাতির হরিণ, বানর, পাখি ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা যায়।
এছাড়াও, সাতক্ষীরার উপকূলজুড়ে জেগে ওঠা দুর্লভ চরগুলো এখন ধীরে ধীরে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। এসব স্থানে সরকারি উদ্যোগে পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে স্থানীয় অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তারা বলছেন, সুন্দরবনের এই সাগরকূলের দর্শনীয় স্থানগুলোকে যদি যথাযথভাবে প্রচার ও সংরক্ষণ করা যায়, তবে সাতক্ষীরা শিগগিরই দেশের অন্যতম প্রধান ইকো-ট্যুরিজম গন্তব্যে পরিণত হবে।

সাতক্ষীরার উপকূলে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন গড়ে উঠেছে নতুন নতুন দর্শনীয় স্থান — পর্যটনের নতুন দিগন্ত

সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি।
আসন্ন রাস পূজা উপলক্ষে সোমবার (২৭ অক্টোবর) থেকে সুন্দরবনে জেলে ও বাওয়ালিদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ জানায়, প্রতি বছর রাস উৎসব উপলক্ষে দুবলার চর ও আশপাশের চরে বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থী আগমন ঘটে। উৎসব চলাকালে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাময়িকভাবে জেলে ও বাওয়ালিদের পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসি এফ) বলেন,
রাস পূজার সময় নিরাপত্তার স্বার্থে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোনো জেলে বা বাওয়ালি প্রবেশ করতে পারবে না ২৭ অক্টোবর থেকে ৫নভেম্বর পর্যন্ত পাস ইস্যু বন্ধ করা হয়েছে।
প্রতি বছর কার্তিক মাসে দুবলার চর এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী রাস পূজা ও রাস মেলা, যা সুন্দরবন এলাকার অন্যতম ধর্মীয় ও পর্যটন উৎসব। এ সময় হাজারো মানুষ বনের বিভিন্ন চর ও তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করে পূজা ও স্নান অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে জেলে বাওয়ালীদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, রাস পূজার সময় মাছ ধরার মৌসুম হওয়ায় তাদের জীবিকায় সাময়িক প্রভাব পড়বে। তবে বন বিভাগ বলেছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত অস্থায়ী এবং পূজা শেষ হলেই পুনরায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এ বিষয় নিলডুমুর এলাকার জেলে বাবুল আক্তার বলেন এই এক সপ্তাহ পাশ বন্ধ করায় আমাদের জীবিকা নির্বাহ এর উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়বে।

সুন্দরবনে জেলে-বাওয়ালিদের পাস বন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মথুরেশপুর ইউনিয়ন তাঁতীদলের সাবেক সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাফিজুল ইসলাম (ছোট্টু)। কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক শরীফ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব মোঃ ফারুক হোসেন। সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম (বাবু), মথুরেশপুরে বিএনপির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম (বাবু), সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেমায়েত আলী (ছোট বাবু), সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম (বুলু),
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শেখ আলাউদ্দীন সোহেল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নূর ইসলাম , সদস্য সচিব মোঃ আব্দুল আলিম, তাঁতীদলের ‌সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এবাদুল ইসলাম, মোঃ আবু হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কর্মীসভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাঁতীদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তাঁরা।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি ও তাঁতীদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মীসভা শেষে ১১ সদস্য বিশিষ্ট মথুরেশপুর ইউনিয়ন তাঁতীদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।নবগঠিত কমিটিতে মোঃ ফারুক হোসেন-কে আহ্বায়ক ও শেখ হাফিজুল ইসলাম (ছোট্টু)-কে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের মথুরেশপুর ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীর সরব উপস্থিতিতে সম্মেলন সম্পন্ন হয়।

কালিগঞ্জে তাঁতীদলের কর্মী সভায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা): সুন্দরবনের প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ কমাতে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রূপান্তর NGO পরিচালিত ইকো সুন্দরবন প্রকল্পের উদ্যোগে ইয়ুথ ফর সুন্দরবনের শ্যামনগর উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আশিক এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রুহানি।

কমিটি সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ রক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি, স্কুল কলেজভিত্তিক ক্যাম্পেইন, নদী খাল পরিচ্ছন্নতা এবং প্লাস্টিকমুক্ত সুন্দরবন গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখে নতুন নেতৃত্ব আগামী এক বছর মাঠপর্যায়ে কাজ করবে।

ঘোষিত কমিটির অন্যান্য পদাধিকারীরা হলেন সহসভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, সহসাধারণ সম্পাদক স্বর্ণা আক্তার আরিফা, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার, কোষাধক্ষ্য হাসানুর রহমান মুন্না, দপ্তর সম্পাদক সায়দুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মিডিয়া সম্পাদক হেনা পারভীন, পরিবেশ সম্পাদক ইমরান হোসেন এবং শিক্ষা সম্পাদক আল মাসুদ।

কমিটি গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন রূপান্তরের শ্যামনগর ম্যানেজার তসলিম আহমেদ টংকর, ইকো সুন্দরবন প্রকল্পের সমন্বয়কারী গোলাম কিবরিয়া, রূপান্তরের শাহিনুর রহমান শাহিন এবং খালিদ মিজান লামি। তাদের উপস্থিতিতে সংগঠনটির কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

ইকো সুন্দরবন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, সুন্দরবনের নদনদী, খাল ও আশপাশের জনপদে প্লাস্টিক দূষণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা বন্যপ্রাণী, জলজসম্পদ এবং স্থানীয় মানুষের জীবনজীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বাস্তবভিত্তিক পরিবেশগত পদক্ষেপ গ্রহণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঘোষিত পদধারীদের পাশাপাশি অন্যান্য সদস্য মিলিয়ে মোট ৩১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই কমিটির আনুষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

ইয়ুথ ফর সুন্দরবন শ্যামনগর উপজেলা কমিটি গঠন: সুন্দরবনের প্লাস্টিক দূষণ রোধে ৩১ সদস্যের নেতৃত্ব ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ অভিযানে নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার ১৪ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোট যোগে যাত্রা শুরু করে। অতঃপর বোটটি দুপুর ১ টায় সুন্দরবনের ঢাংমারি খাল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ে বোর্ড টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয় বোর্ডের সহায়তায় ১৩ জন টুরিস্টকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বোর্ডে থাকা জনৈক এক ব্যক্তি বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে অবগত করেন।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও স্টেশন হারবারিয়া হতে দুইটি উদ্ধারকারী দল কোস্ট গার্ড বোর্ড যোগে অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিখোঁজ পর্যটকের অনুসন্ধানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। চলমান ৩ দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের পর অদ্য ১০ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার সকাল ৭ টায় কোস্ট গার্ড, মোংলার সাইলো জেটি সংলগ্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় উক্ত নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উদ্ধারকৃত মৃ*তদেহ পরবর্তীতে চাঁদপাই নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের সুরক্ষা ও ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ অভিযানে নিখোঁজ পর্যটকের মৃ*তদেহ উদ্ধার

কৈখালী শ্যামনগর প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা গ্রামের লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত অভিরন বাঁচতে চাই। দীর্ঘ বছর বিধবা হলেও পাননি বিধবা ভাতার কার্ড। অভিরন সোরা গ্রামের মৃত ওয়াজেদের স্ত্রী। সরজমিনে জানা যায় , অভিরোন বিবি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পরেও তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই সংকটময় হয়ে উঠেছে। তার স্বামী বহু বছর পূর্বে মৃত্যু বরন করেন।দীর্ঘ বছর স্বামী মৃত্যু বরন করলেও এখন পযর্ন্ত পাননি বিধবা ভাতার কার্ড। একটি মাত্র কন্যা বিবাহিত । অসহায়  কষ্টও সীমাহীন । দীর্ঘ দিন ধরে লিভার রোগে আক্রান্ত তিনি নিজের চিকিৎসার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছেন। অভিরোন বিবির জীবনটা শুরু থেকে কষ্টের। স্বামীর মৃত্যুর পরে একটি মাত্র কন্যাকে বড় করার জন্য দিনমুজিরীর কাজ শুরু করে। অনেক কষ্ট করে মেয়েক বড় করে বিয়ে দেন। অন্যের বাড়ীতে কাজ করে কোন ভাবে তার জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল। হঠাৎ অভিরোন বিবি অসুস্থ হয়ে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েন । পরে অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে পরীা নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে যে, তার লিভারে ক্যান্সারের জটিল রোগ। চিকিৎসার জন্য অভিরোন বিবিকে বহু থেরাপি নিতে হবে, যার খরচ প্রতি থেরাপি প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পুরো চিকিৎসার জন্য প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। অভিরোন বিবির উন্নত চিকিৎসা করার জন্য কোন অর্থ সম্পদ নাই। অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। ১/২ দিনের ভিতরে থেরাপি না দিলে তার বেঁচে থাকা অসম্ভব হতে পারে।  অভিরোন বিবি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন , আমার স্বামী দীর্ঘ বছর মৃত্যু বরন করলেও বেশ কয়েকবার অনলাইনে আবেদন করে এখন পযর্ন্ত বিধবা ভাতার কার্ডটি পেলাম না। বর্তমানে আমি মরনব্যাথি লিভার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। এ সময় তিনি  শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট বিধবা ভাতার কার্ড ও উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আবেদন জানান। সমাজের দানশীল, সমাজ সেবক , স্বেচ্ছীসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের  কাছে সাহায্যের আবেদন যাতে তিনি বিবি বাঁচতে পারেন। এ বিষয়ে রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আল মামুন বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু পারি আর্থিক সহযোগিতা করব এবং তার বিধবা ভাতার কার্ডটি পাওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করব। অভিরোনের সাথে যোগাযোগ মোবাইল নং – ০১৯১১১৭৭০৩৮ , সাহায্যে পাঠানোর বিকাশ নং – ০১৩০৯৬৯৪৯০৪।

বাঁচতে চাই লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হত দরিদ্র বিধবা অভিরোন দীর্ঘ বছরেও পাননি বিধবা ভাতার কার্ড

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা-০৩ (কালিগঞ্জ– আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পথ সভায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মাহমুদ ছট্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা- ০৩ (কালিগঞ্জ– আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী কাজী মোঃ আলাউদ্দীন। উপজেলা বিএনপির সাবেক তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় এসময়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ এবাদুল ইসলাম, কৃষ্ণনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ মোস্তফা, মৌতলা বিএনপির সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন, সদস্য সচিব আরিফুর রহমান ছোটন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিঃ সহ সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারী রেদাওয়ান ফেরদাউস রনি, উপজেলা জাসাস এর আহবায়ক মুরশীদ আলী গাজী, সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক শাহাজান মোড়ল, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আমিনুর রহমান, সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফি, ও ছাত্রনেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।

পরে কৃষ্ণনগর বাজারে ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা জনগণের মাঝে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরে বিএনপির উদ্যোগে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালে শ্যামনগর মাইক্রো বাসস্ট্যান্ডে এই আলোচনা সভা হয়। এর আগে সকাল থেকে শ্যামনগর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সভাস্থলে প্রবেশ করতে থাকে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এইচ.এম রহমতুল্লাহ পলাশ। শ্যামনগর পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শেখ লিয়াকত আলী বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসান হাদি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আকতারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য জি.এম লিয়াকত আলী, সোলাইমান কবির, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম, জহুরুল হক আপ্পু প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে আগামী নির্বাচনে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

এছাড়াও এ সময় বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জামাত ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপি কখোনোই পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাই নাই, বিএনপি সব সময় জনগণকে সাথে নিয়ে জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েছে।

এছাড়াও সভায় অন্যান্য বক্তারাও ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে। এজন্য আগামী নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোঃ মনিরুজ্জামানকে জয়যুক্ত করতে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি

আব্দুল্লাহ আল মামুন দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলায় ইছামতি নদীর ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা কোমরপুরে ভেড়িবাধ সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলন সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী (অ:দ্বা:) সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বিভাগ-১, বাপাউবো আব্দুর রহমান তাযকিয়া। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দরা।

দেবহাটার ইছামতী নদীর ভেড়ি বাঁধ পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম বজলুর রশীদ

আব্দুল্লাহ আল মামুন দেবহাটাঃ
পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে এই স্লোগানকে ধারণ করে অপরিচ্ছন্ন দেবহাটাকর পরিচ্ছন্ন করার অভিযানে নেমেছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সাধারণ জনগণসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন-এর দেবহাটা টিমের সদস্যরা ৭ই নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রের বিভন্ন পয়েন্টেন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন।বিডি ক্লিন দেবহাটা টিমের প্রধান সমন্বয়ক ইমন আহসান জানান, আমাদের সংগঠনের ব্যানারে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছি।সমাজের সর্বস্তরের লোকজনসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।তিনি আরো বলেন যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ হুমকির মুখে। আমাদের সমাজে এসব সমস্যা সমাধানের যাদের উদ্যোগ নেওয়া দরকার তারা আসলে এগিয়ে আসছে না। তাই আমরা শুরু করেছি আমাদের দেখে সমাজের সকল পেশার মানুষ এগিয়ে আসবে বলে আশা করি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইমন আহছান (সমন্বয়ক বিডি ক্লিন দেবহাটা উপজেলা টিম), আরমান হোসেন ( মনিটর, বিডি ক্লিন দেবহাটা উপজেলা টিম) আরো উপস্থিত ছিলে শাহরিয়ার মাহমুদ,আকাশ,ইমন,রেজওয়ান, সৌম্য, শাহিন।

দেবহাটাকে পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন করার অভিযানে নেমেছে বিডি ক্লিন

নিজস্ব প্রতিবেদক।
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা চৌদ্দরশি ব্রিজ সংলগ্ন বড় গাবুরা এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে আগ্নেয় অস্ত্রের সরমজামসহ আটক করেছে ২ জন কে স্থানীয় জনতা গত (৭-১১- ২০২৫) রাতে।
পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে উঠিয়ে দিয়েছে বলে জানাযায়। আটক কৃত আসামীরা হলো কয়রা উপজেলার পিতা ইব্রাহিম গাজী
, ১। বেল্লাল হোসেন ( ৩৩)খুলনা জেলার দাকোব থানার জয়নগর গ্রামের মৃত্যু জয়নাল খার ছেলে ২। আজহারুল ওরফ খানজাহান (৩৬) তাদের দেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে কোর্টে  প্রেরণ করেছে।

শ্যামনগর গাবুরা চৌদ্দরশি ব্রিজ সংলগ্ন থেকে আগ্নেয় অস্ত্রের সরঞ্জামাদীসহ আটক ২

গাবুরা (শ্যামনগর) প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে অনিরাপদ সড়ক ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকায় এক গর্ভবতী নারী ট্রলারে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেছে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে।
গাবুরার ৯ নং সোরা দৃষ্টিনন্দন এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী।
নদীপথের দূরত্ব ও যাত্রার সময় বিলম্বে তিনি ট্রলারের ভেতর মৃত্যু বরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে গাবুরা ইউনিয়নের দক্ষিণাঞ্চল এলাকায় বসবাসরত ওই গর্ভবতী নারী হঠাৎ প্রসব ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকায় উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় পরিবার সদস্যরা তাকে ট্রলারে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
 গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য ফরিদা পারভিন ঘটনা স্থানে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে ফরিদা পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গাবুরা ইউনিয়নে কোনো মানসম্মত স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সামান্য চিকিৎসার জন্যও নৌপথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় স্থানীয়দের। আর এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় বিলম্ব হওয়ার কারণেই অনেকেরই এভাবে প্রাণ দিতে হয়।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে নিরাপদ সড়ক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো গর্ভবতী নারী এমন করুণ পরিণতির শিকার না হন।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে গর্ভবতী নারী মৃত্যু