সংবাদ শিরোনামঃ
রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
সংযোগ সেতুর বেহাল দশা, ভোগান্তিতে গাবুরার হাজারো মানুষ

সংযোগ সেতুর বেহাল দশা, ভোগান্তিতে গাবুরার হাজারো মানুষ

আল-হুদা মালী, উপকূলীয় প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করছে। সেতুটির মেয়াদ শেষ তবুও প্রতিদিন শত শত যানবাহন সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে খালের উপর পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সেতুটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। নিচের দিকে বসে যেতে শুরু করছে। সেতুর খুঁটি থেকে প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে।
 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে সেতুটির মাঝখানে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও ব্রিজের দুই পাশের রেলিংগুলো নড়বড়ে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। পাশাপাশি এই পথে কয়রা গোলখালীর অনেক মানুষের যাতায়াত রয়েছে। পুরোনো সেতু হওয়ায় অনেক দিন থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর মধ্যে নতুন করে ব্রিজের মাঝখানে বড় আকারের একটি ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেতুটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
 স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যেকোনো সময় সেতুটি খালের মধ্যে ধ্বসে পড়তে পারে। সোরা গ্রামের অলি গাজী বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর মাঝখানে বড় আকাঁরের ফাটল হয়েছে। ডুমুরিয়া মটরসাইকেল সমিতির সভাপতি  উপকূলীয় বার্তার প্রতিনিধি কে বলেন গাবুরায় কোন পিচের কার্পেটিং না থাকাই। কিছু ইটের সড়ক আছে তা প্রায় সব সড়কের ইট উঠে গিয়ে বৃষ্টির পানি জমে সেসব জায়গায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ডুমুরিয়া খেয়াঘাট, হরিশখালী খেয়াঘাট টু গাবুৱা ইউনিয়ন পরিষদের সড়কের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। গাবুরা ইউনিয়নের বেশ কিছু সড়কের ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও কাঁদা মাটি দেখা দিয়েছে ফলে একটু বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে যাচ্ছে। রাস্তার এমন বেহাল দশা, তার উপর ভেঙে পড়া সেতু পারাপার হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ভাড়াও গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে উপজেলার সড়কগুলোর যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নত না থাকায় উপজেলা সদরের অফিস, আদালতে, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাতায়াতে সময় ক্ষেপণসহ ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। শ্যামনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ  জানান, গাবুৱা ইউনিয়ে ৯ নং সোরা গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি নতুনভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
গাবুৱা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদুল আলম বলেন, গাবুরার ১০টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে শ্যামনগর উপজেলা যাতায়াত করে থাকেন। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে সেতু দিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির পাশে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণের বিষয়টি ইউনিয়নবাসী সহ আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই। চেয়ারম্যান আরো বলেন
এ বিষয়ে উপজেলায় মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে নতুন সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অচিরেই সেতুটি মেরামত করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া উপকূলীয় বার্তাকে জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সড়কগুলোর অধিকাংশ সংস্কার এবং অনেক নতুন সড়ক ও সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি যে সমস্ত সড়ক ও সেতুর বেহাল অবস্থা রয়েছে সেগুলোর কাজও করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড