কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উপকুলীয় জনপদ কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান করা হবে। সে জন্য আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে রাষ্টীয় ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে প্রশাসন এবং পুলিশ বাহীনি দিয়ে বিরোধী দলের নেতা- কর্মীদের দমন পীড়ন চালিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, গুম,খুন ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে জনবিছিন্ন হয়ে গন আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে গেছে । সেই সাথে দলের প্রধান ও নেতা কর্মীরাও পালিয়েছে এটা পৃথিবীর ইতিহাসে নজীর বিহীন ঘটনা।
আগামী এয়ােদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন,একটি দল পিআরের নামে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে তারা ব্যাহত করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এদেশের মানুষ সেটা কোন ভাবেই মেনেনেবেনা। গত ৫ আগস্টের পুর্বে এ দলটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলেনি, এখন তারা পিআরের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
আজিজুল বারী হেলাল বুধবার ( ১৫ অক্টােবর) বিকাল ৩ টায় কয়রা মদিনাবাদ সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়রা উপজেলা যুবদলের আয়ােজনে এয়ােদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমান ঘােষিত রাষ্ঠকাঠামাে মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কয়রা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মােহতাসিম বিল্লাহ এবং সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এহছানুর রহমানের সঞ্চলনায় সমাবেশে
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভােকেট মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার আব্দুল মজিদ, ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের আহবায়ক এবাদুল হক রুবায়েত। বিশেষ বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এমএ হাসান, মনিরুজ্জামান বেল্টু,
আবু সাইদ বিশ্বাস,খুলনা জেলা যুবদলের যুগ্গ আহবায়ক রুবেল মীর, ইঞ্জিঃ জাহিদুর রহমান শােভন, জেলা যুবদল নেতা হাবিবুন্নবী, পীরআলী, জাকারিয়া আহমেদ, নাসির উদ্দীন, কযরার বিএনপি নেতা শেখ সালাউদ্দিন লিটন, সরদার মতিয়ার রহমান, এফ এম মনিরুজ্জামান মনি, এ্যাডঃ মঞ্জুর আলম নান্নু, গাজী সিরাজুল ইসলাম, আঃ সামাদ, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, হাফিজুর, রওশন মোল্যা, আবুল বাশার ডাবলু, মঞ্জুর মোর্শেদ, যুবদল নেতা আকবার হোসেন, হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ কাজল,আছাদুল ইসলাম, ইউনুস আলী, আনারুল ইসলাম ডাবলু, আহাদুর রহমান লিটন, দেলোয়ার হোসেন, কৃষক দল নেতা এস এম গোলাম রসুল,ওলামাদলের আহবায়ক মাওলানা গোলাম মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুর ইসলাম খোকা, ডিএম হেলাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, মহিলা দলের দিলরুবা মিজান, জাসাসের জামাল ফারুক জাফরীন, শ্রমীক দলের আকবার হোসেন, ছাত্রদল নেতা আরিফ বিল্লাহ সবুজ, মাহমুদ হাসান, ছাত্র নেতা ইমরান হোসেন, মামুন হোসেইন প্রমুখ।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন পর কয়রা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব নূরুল আমিন বাবুল বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়ে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা জন্ম দিয়েছে।
Leave a Reply