শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী দাতিনাখালী এলাকার মারুফ বিল্লাহ এর পোল্ট্রি মূরগীর খামারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে আনুমানিক চার লাখ টাকার পোল্ট্রি মুরগি সহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়েগেছে (২৯জানুয়ারি)সোমবার রাতে।
দাতিনাখালী গ্রামের মৃত গফুর পাড়ের ছেলে মারুফ বিল্লাহ এর মা গত রবিবার সকালে শ্যামনগর থেকে ১৬শ পোল্ট্রি মুরগির বাচ্ছা তার নিজ ফার্মে তুলেছিল।
সোমবার রাতে মুরগির বাচ্চাদের ঠান্ডা থেকে মুক্ত রাখতে তাপ দিতে বৈদ্যুতিক বাল্প ব্যবহার করেন। সেখান থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা করেন।
এবিষয়ে মারুফ বিল্লাহ এর মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সোমবার রাতে আমি মুরগির বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে ঐ বাল্প ধরায়ে আমি ঐ বাচ্চাদের পাশে ঘুমিয়ে ছিলাম, হটাৎ আগুনের তাপ আমার গায়ে লাগলে ঝেড়েপেড়ে উঠে দেখি হুহু করে আগুন জ্বলতেছে, আমার হাকডাকে এলাকার মানুষ এসে আগুন নিভাতে চেষ্টা করলে ও তথক্ষনে আমার সব পুড়ে ছায় হয়েগেছে।
কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে আমার।
এসময় সায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে শ্যামনগর ইউনিট ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিস শ্যামনগর ইউনিট প্রধান।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ ম্যানেজার বলেন মারুফ বিল্লাহ খুবই গরিব মানুষ ইটভাটায় কাজ করেন, তার মা এই ফার্মটা চালায়,তবে আগুনে পুড়ে যেয়ে আনুমানিক চার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দেখতে ছুটে আসেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
তিনি এসময় আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের বিষয়টি জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কৃত পক্ষকে অবহিত করেন।
এবং মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানটি পরিদর্শন করেন, এসময় তিনি সরকারি ভাবে চারটা শীত বস্ত্র (কম্বল) ও নিজস্ব অর্থায়নে ২৫কেজি চাউল দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বিষয়টি উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
Leave a Reply