সংবাদ শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা জেলা তরুন দলের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি পালন  আটুলিয়া ইউনিয়নে ১৫ টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ৩,০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংকি বিতরণ  কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি”র অফিস উদ্বোধন রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি
শ্যামনগরে কৈখালীত নোনা পানি উঠতে দিতে   চায় না আর জমির মালিকেরা

শ্যামনগরে কৈখালীত নোনা পানি উঠতে দিতে   চায় না আর জমির মালিকেরা

 উপকূলীয় অঞ্চল(শ‍্যামনগর) প্রতিনিধঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপজেলার কৈখালীতে জমির মালিক নোনাপানি তুলতে দেবেন না আর অর্থশালী ইজারাদারদের চাপের মুখে তারা।ডিসেম্বর শেষে নতুন করে মৎস্যঘেরীর প্রস্তুতের লক্ষ্যে লোনাপানি উত্তোলন করা শুরু হবে।কিন্তু অনেক জায়গায় মালিকরা লোনাপানি তুলতে নারাজ।তবুও বাঁধ্যতামূলক প্রভাবশালীরা লোনাপানি তুলতে বাঁধা মানছেন না।এমন একটি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামে।
৯ জানুয়ারী(মঙ্গলবার)সকাল ১০ টায় প্রায় ৫০ জন জমির মালিক একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করেন,তারা
শমসের গাজীর ছেলে আব্দুল ক‌রিম,মৃত গহর গাজীর ছেলে মোঃ মুনছুর গাজী, মৃত গহর গাজীর ছেলে আব্দুল ম‌জিদ, মৃত আব্দুল হা‌মিদ গাজীর ছেলে মোঃ তাহা‌জ্জেদ মোল‌্যা, সম‌শের গাজীর ছেলে
আব্দুর র‌হিম, মীর রহমত আলীর ছেলে মীর আব্দুল কাউয়‌ুম বলেন,২০ বছর আগে ৫ বছরের জন্য জমি ইজারা গ্রহণ করেন কাশিমাড়ী ইউনিয়নে সমশের ঢালী নামের এক প্রভাবশালী ঐ ব্যক্তি।ইজারা শেষ হলে শ্যামনগর প্রভাবশালী এক নেতার সহযোগিতায় ভয়ভীতি দেখিয়ে আজও পর্যন্ত জমি ছাড়ছেন না ৷ আমরা লোনাপানিতে চুব খাচ্ছি,আমরা অন্য এলাকার মত ধান চাষ করতে চাই।
 এবিষয়ে সমশের ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আপনারা সাংবাদিকরা আলাদা দেখা করার  কথা তিনি মুঠো ফোনে বলেন৷
প্রকাশ থাকে যে,কিছু এলাকায় সিএমবির রাস্তা তৈরি হয়েছে কিন্তু তার নিচু দিয়ে বাক্স কল রয়েগেছে।  সেই স্থানগুলো রাস্তার চরম ক্ষতি হয়েছে।নবনির্মিত রাস্তা বসে গেছে ।অন্যদিকে কিছু স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ দুপাশ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সরকার প্রতিনিয়ন এই বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য।
অনুসন্ধান মূলক জানাগেছে যে,বাক্সকলগুলোর বার্ষিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকা।এই টাকা নিচু তলা থেকে উপর তলার সকল রুই কাতলরা পেয়ে থাকে৷ বাক্স কল অপসারণে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ থাকলেও স্থানীয়রা সমন্বয় করে তা সিথিল করে ফেলেছে ৷
অন্যদিকে উপকূলের ৯০% মানুষ ধান চাষে আগ্রহী হলেও বাকি ১০% অর্থশালীরা নারাজ লোনাপানি বন্ধ করতে বর্তমান কিছু কৃষক মৎস্যঘেরীতে ইরি চাষ করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু পাশের লোনাপানির চাপে নষ্ট হচ্ছে ইরি ধান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,মৎস্যঘেরীতে বছরের পর বছর লোকশান হচ্ছে কিন্তু লোনাপানি উত্তোলন বন্ধের অভাবে তারা ধান চাষ করতে পারছে না।আর বাক্সকলের মালিকরা লাভের আশায় বন্ধও করছে না।কিছু সচেতন মহল জানিয়েছেন যে,বাক্স কল অপসারণ করলে লোনাপানি উঠা বন্ধ হবে।আর লোনাপানি বন্ধ হলে মৎস্যঘেরী করা বন্ধ হবে ৷ উপকূলের মানুষ ফিরে পাবে মিষ্টি পানির আধার আর সেই সাথে খালগুলো উন্মুক্ত হয়ে যাবে।সেই সাথে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনও হবে।ধান চাষে মানুষ লাভবান হবে এবং উপকূলের মানুষ সুন্দরবনের উপর নির্ভর কমিয়ে দিবে।তাতে করে এলাকার মানুষ কর্মশীল হয় পড়বে৷

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড