সংবাদ শিরোনামঃ
রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কয়রা লঞ্চঘাট পর্যটন শিল্পের নতুন দিগন্ত

কয়রা লঞ্চঘাট পর্যটন শিল্পের নতুন দিগন্ত

ফরহাদ হোসেন কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃপৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও ঐশ্বর্যমন্ডিত বনগুলোর মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি এ সুু্দরবন। এর চার দিক নিবিড় ঘন, চিরসবুজ এবং নিস্তব্ধ। সর্বত্রই সবুজের রাজত্ব। গাছপালা অপরূপ সাজে সজ্জিত। ভারত ও বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বিস্তৃত এ শাসমূলীয় বন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) আমাদের দেশে অংশে ৩৮ ভাগ।

প্রাকৃতিক এই বনভূমি এদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালী মোট ৫ টি জেলার সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত। সুন্দরবনকে ঘিরে বাকী চার জেলায় কমবেশি পর্যটন শিল্প গড়ে উঠলেও খুলনা জেলায় খুব একটা চোখে পড়েনা। সম্প্রতি বন বিভাগের পক্ষ থেকে কালাবগী ও শেখের টেকে ২ টি ইক্যুট্ররিজম কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খুলনা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দবনের কোলঘেঁষা কয়রা উপজেলার কিছু উদ্যোমী তরুণরা অত্র এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার সামাজিক আন্দোলন করে আসছে।

প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত কাটিয়ে উঠে এলাকাবাসী এখন স্বপ্ন দেখে একটি পর্যটন কেন্দ্রের। এক সময়কার কয়রার রাস্তাঘাটের বেহালদশা থেকে মুক্ত হয়ে এখন যাতায়াত ব্যবস্থা অনেকটা উন্নত। ২০১৫ সালে কয়রারর সচেতন মহল ও তরুন শিক্ষার্থীরা এবং কয়রা উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের সহায়তায় পর্যটন কেন্দ্রের দাবীতে সুন্দরবন ভ্রমন করে এলাকায় ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় যা জাতীয় ও খুলনার আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে কয়রা সদর থেকে ৫ কি. মি পূর্বে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট সংলগ্ন স্থানটি পর্যটনের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখছে এলাকাবাসী।

খুলনা থেকে ১১০ কি.মি দক্ষিণের এই স্থানটি আসার জন্য খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাসযোগে (বাসভাড়া ১৮০ টাকা জনপ্রতি ,সময় লাগবে ৪ ঘন্টা) কয়রা সদরে পৌছে মডেল হাইস্কুল মোড় থেকে ইজিবাইক/ মোটর সাইকেলযোগে (ইজিবাই ২০ টাকা, মোটরসাইকেল-৫০ টাকা জনপ্রতি) মাত্র ১৫ মিনিট লাগবে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট পর্যটন কেন্দ্র পর্যন্ত পৌছতে। অন্যদিকে খুলনা নতুন বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ১১.৩০ মিনিটে ছেড়ে আসা লঞ্চযোগে ( সময় লাগবে ৭ ঘন্টা, ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা) পর্যটন কেন্দ্রে পৌছানো সম্ভব। নামতে হবে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাটে ( লঞ্চঘাটের পাশেই পর্যটন স্পট)। কয়রা সদরে স্বল্প খরচে থাকার জন্য রয়েছে কয়েকটি আবাসিক হোটেল।

স্থানীয় বনজীবি সমিতির সমিতির সভাপতি খলিল ঢালী বলেন, এখানে স্বল্প খরচে ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা যাবে। রয়েছে বিশাল এলাকাজুড়ে মনজুড়ানো গোলপাতা ট্রি প্লান্ট প্রজক্ট। দলবেঁধে পিকনিক করারও সু ব্যবস্থা রয়েছে নদীর পাড়ে।

রেষ্টুরেন্ট, কপি হাউজ গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই এলাকায় আসলে আরো আবলোকন করা যাবে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী” আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের “বৈচিত্র্য্যময় জীবনাচার। কয়রা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ.এম শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অসংখ্য পর্যটন স্পটের মতো আমরাও যুক্ত হতে চাই অর্থনৈতিক গুরুত্বে।

এলাকাবাসী বিশেষ করে তরুণ সমাজকে এই পর্যটন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে তাদের সামাজিক উন্নয়ন কর্মকা-ে উৎসাহিত করে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকায় উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব। মাদক ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপের কবল থেকে তারণ্যকে মুক্ত রাখার জন্য এই প্রয়াসের গুরুত্ব অপরিসীম”শীত মৌসুম ও দুই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আগমন চোখে পড়ার মতো। বন বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর পড়লে এই স্থানটি হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সরকার রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি এই অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আরও যতœশীল হবে বলে আশাবাদী।

কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সরদার লুৎফর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে এই এলাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকসমাগম ঘটছে। সুন্দরবন উপভোগ করার জন্য এত সৌন্দর্যপ্রিয় এলাকা খুবই কম। তাই এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার অপার সম্ভবনা রয়েছে। ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে একপি ইক্যুট্ররিজম কেন্দ্র গড়ে তোলার একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। সেটি বাস্তবায়ন চাই এই এলাকার অধিবাসিরা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড