বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ও ৭১ টিভির বখশিগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকি, সাবেক সভাপতি শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন আলী, প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এসএম সামসুর রহমান, সাংবাদিক এসএস শোহান প্রমুখ।
এসময় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, আহাদ উদ্দিন হায়দার, বাগেরহাট টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, আলী আকবর টুটুল, প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মাসুদুল হক, সাংবাদিক শেখ আবু সাইদ, আজাদুল হক, আবু সাইদ শুনু, অলিপ ঘটক, হেদায়েত হোসেন লিটন, আল আমিন খান সুমন, আব্দুল্লাহ আল ইমরান, এসএম আমিরুল হক বাবু, রাকিবুল ইসলাম রাজ, সৈয়দ শওকত হোসেন, সোহেল রানা বাবু, রিফাত আল মাহমুদ, রুহুল আমিন বাবু, আরিফুর রহমান জালাল, নকিব মিজানুর রহমান, শাকির হোসেন, মেহেদী হাসান বাচ্চু, সোহাগ আহমেদ, মাজহারুল হক সৌরভ, শেখ সোহেল, আবু তালেব, কামরুজ্জামান মুকুল, সালমান মুহাইমিন সহ বাগেরহাটে কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের হত্যা করে পার পাওয়া যাবে না। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে। নাদিম হত্যার সাথে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ পাথাটিয়ায় পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সে সময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মী মুজাহিদ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
Leave a Reply