শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
গাবুরায় সংবাদ সংগ্রহকালে ইউপি সদস্যা ও তার স্বামী কর্তৃক সংবাদকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, শ্যামনগরের গাবুরার জেলিয়াখালি গ্রামের রেবতী রানীর বাড়ি হইতে গৌরঙ্গের বাড়ি পর্যন্ত ইটসোলিং রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহার করার অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ১,২, ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন (রানী) ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপকূলীয় বার্তা’র সহ সম্পাদক সংবাদ কর্মী আল হুদা মালীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্যা রানী ফোন দিলে তার স্বামী আনোয়ার হোসেন ফোন নিয়ে হুদা মালীকে বলেন, তোর সব জায়গায় মাতব্বরি করতে বলেছে কে? তুই কাজের সাইডে আছিস নাকি? তুই ওখানে দাড়া আমি এসে তোর সাংবাদিকতা ছুটাচ্ছি।
পরবর্তীতে আবারও ইউপি সদস্যা রানী তার ফোন থেকে কল দিয়ে হুদা মালীকে বলেন, তোমাকে যেখানে পাবো সেখানেই গণধোলাই দেওয়ার অর্ডার আছে আমাদের কাছে। তোমার কত বড় সাহস তুমি জেলা পরিষদের এনডিপির কাজ দেখতে আসো। তুমি চলেগেছো কেনো? ওখানে থাকলে তোমার আজকে মজা দেখাতাম।
হুদা মালী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার কাছে খবর আসে গাবুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে জেলা পরিষদের বরাদ্দে একটা ইটসোলিং রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেখানে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহার করা হচ্ছে, আমি সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দ্বায়িত্বরত ইউপি সদস্যা রানীকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বালু কম দেওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ইউপি সদস্যা রানীর স্বামী ফোন দিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আনোয়ার হোসেনের হিংস্র ও ক্ষীপ্ত মেজাজ দেখে প্রাণের ভয়ে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। কিন্তু ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্যা রানী তার ব্যক্তিগত মোবাইল নং+8801965056638 থেকে কল করে বলেন, তুমি চলেগেছো কেনো? তোমাকে যেখানে পাবো সেখানেই গণধোলাই দেওয়ার অর্ডার আছে আমাদের কাছে। তুমি চলে না গেলে তোমার খবর ছিলো আজকে।এবং আমার প্রাণনাশের হুমকি দেন, এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন রানী ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় জিডি করা হয়েছে।
এবিষয়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান গাইন বলেন, সংবাদকর্মী উপর দূর ব্যবহার করার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, সংবাদকর্মী অভিযোগ পেলে কাজ দেখতে যেতে পারে তাই বলে মারার হুমকি দেওয়ার অধিকার নাই, আর তার স্বামী তো ওই কাজের দায়িত্বে না তাহলে সে কেনো এমন ব্যবহার করবে। আমি বিষয়টি জেনে দেখতেছি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply