মোঃ সাইফুল ইসলাম রমজানগর ইউনিয়ন প্রতিনিধিঃ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত হিমায়িত মৎস্য বা চিংড়ি রপ্তানি। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ওজন বাড়ানোর জন্য চিংড়ির ভেতরে বিভিন্ন অপদ্রব্য ঢুকিয়ে চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কারখানায় পাঠাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ অপচেষ্টা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অভিযানে তা ধরাও পড়ছে।
চিংড়ি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, চিংড়িতে অপদ্রব্য ঢোকানোর ওই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘পুশ’। এ ধরনের প্রবণতা রপ্তানি খাতের জন্য অশনিসংকেত। আমদানিকারক দেশগুলোর কাছে যদি কখনো সেটি ধরা পড়ে, তাহলে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে তারা। তখন রপ্তানি বাজার হারিয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে খাতটি।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি চিংড়ির ব্যাপক কদর ও চাহিদা রয়েছে কিন্তু সে তুলনায় উৎপাদন কম। এ কারণে জেনেশুনেই অনেক রপ্তানিকারক পুশ করা চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করছেন। বিভিন্ন সময় দেখে যায় বিভিন্ন জেলা বা উপজেলা শহর গুলোতে পুশবিরোধী অভিযান করেন খুলনা র্যাব-৬। এবং চিংড়ি মাছ পুশ করার দায়ে বিভিন্ন সময় অর্থ দন্ড বা বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও দিতে দেখা গেলেও শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল রমজাননগর ইউনিয়ন কয়েক টি বাজারে প্রকাশ পুশকৃত চিংড়ি মাছ ক্রয় বিক্রয় করতে দেখা যাচ্ছে উল্লেখ যোগ্য ভেটখালী আনন্দ বাজার ও সোরা ব্রীজের মাথায় কয়েক টি বড় বড় কোম্পানির এজেন্সি দিয়ে পেশকৃত চিংড়ি ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন নিরব
, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগেও চিংড়ির শরীরে ছোট তারকাঁটা (লোহা) ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তী সময়ে সেটি ধরা পড়ায় বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি রপ্তানি কমে গিয়েছিল। ওই অপতৎপরতা বন্ধে মেটাল ডিটেক্টর বা ধাতব পদার্থ নির্ণয়কারী যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা শুরু হয়, তাতে ওই অপতৎপরতা বন্ধ হয়। এবার ওজন বাড়াতে চিংড়ির শরীরের মধ্যে সিরিঞ্জের মাধ্যমে জেলি বা বিভিন্ন ভারী তরলজাতীয় অপদ্রব্য পুশ করা হচ্ছে। রপ্তানির আগে বিভিন্ন ল্যাবের পরীক্ষায় জেলি ঢোকানোর ব্যাপারটি ধরা পড়ছে না।
, চিংড়ির মধ্যে জেলি হিসেবে যেটি প্রবেশ করানো হয়, আসলে তা হলো আগর নামের একধরনের পাউডার বা সাবু দানা। এগুলো পানির সঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ আগুনে জ্বালালে ঘন জেলির মতো হয়ে যায়। পরে তা সিরিঞ্জের মাধ্যমে চিংড়ির মাথার দিকে ঢুকিয়ে বরফ ঠান্ডা পানিতে রাখা হয়। সঙ্গে সঙ্গে চিংড়ির শরীরের মধ্যে ওই জেলি জমাট বেঁধে শরীরের আকার ধারণ করে। তাই চিংড়ির খোলস ছাড়িয়ে আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে না দেখলে তা বোঝা যায় না। তা ছাড়া পুশ চিংড়ির শরীরের মধ্যে থাকা অবস্থায় তা থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের জীবাণু সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যায়
এই বিষয়ে শ্যামনগর মৎস্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বলেন আমরা চিংড়ি পুশের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবো
Leave a Reply