সংবাদ শিরোনামঃ
রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
শহরের কয়েকটি আবাসিক হোটেলের নামে সাইনবোর্ড ছাড়াই: কালো কাপড়ে ঘেরা ভবনে চলছে দেহব্যবসা

শহরের কয়েকটি আবাসিক হোটেলের নামে সাইনবোর্ড ছাড়াই: কালো কাপড়ে ঘেরা ভবনে চলছে দেহব্যবসা

 সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

কোন প্রকার বৈধতা এবং সাইনবোর্ড ছাড়াই চলছে আবাসিক হোটেল! সাতক্ষীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে অথবা ভবনের সামনে অন্য কোন কোম্পানির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চলছে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা। প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অখ্যাত কুখ্যাত পত্রিকার নামধারি গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করেই বছরের পর বছর এই অনৈতিক ব্যবসা চললেও দেখা যায়নি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

সরেজমিনে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের জনবহুল এলাকা বাসটার্মিনালের বিপরীতে একেবারে মেইন রাস্তার ধারে দুই তলার উপরে কোন সাইনবোর্ড ছাড়াই চলছে আবাসিক হোটেল। তবে জোনাকি হোটেল নামে অনেকেই বললেও এর কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। আলোচিত এই আবাসিক হোটেলের মালিকের নাম জানা গেছে ছোট। এরপর এখান থেকে একশ’ হাত দূরে আর একটু শহর অভিমুখে আব্দুল গফ্ফারের ছোট্ট টুইন টাওয়ারের মতো তিনতলা বিল্ডিংএর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় কালো কাপড় দিয়ে ঘেরা বিল্ডিংটিতে চলে আরও একটি আবাসিক হোটেল। এই হোটেলটি পরিচালনা করেন বেল্লাল নামের জনৈক ব্যক্তি। এখান থেকে আর একটু শহর অভিমুখে সরদার পাড়ার মোড় ছাড়িয়ে ¦ ডাক্তার আবু জাফর ভবনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলা জুড়ে চলছে আরও একটি আবাসিক হোটেল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডা: আবু জাফর ভবন এর সাইনবোর্ড থাকলেও কার্যত এটি আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহব্যবসার হেরেমখানা। কালো কাপড় দিয়ে মোড়ানো সাইনবোর্ড ছাড়াই এই হোটেলটি পরিচালনা করছেন শহরের দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত নারী ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্ব স্ব আবাসিক হোটেল এলাকার লোকজন জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা ১১টা পর্যন্ত এসব হোটেলে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের গমনাগমন চলে। রাতে কাউকে এসব হোটেলে থাকতে দেখা যায়না। তবে দিনে ঘন্টা চুক্তিতে রুম বা বেড ভাড়া চলে এসব হোটেলে। স্থানীয়রা আরও জানান, বোডারের সঙ্গে ‘পাখি’ থাকলে ভালো, না থাকলে ‘পাখি’র ব্যবস্থাও এখানে হরহমেশাই হয়ে থাকে। তারা বলেন, এসব আবাসিক হোটেলের পিছনে রয়েছে আলাদা পথ। অভিযানের আগেই খবর পেয়ে যায় এসব হোটেলের মালিকরা। আর খবর পেলেই তাৎক্ষণিক পেছনের পথ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় হোটেলের বিশেষ জায়গায় রক্ষিত পাখিদের। তবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত অর্ধ ডজন এমন হোটেল পাওয়া যায়। যাদের রাতে কোন বোডার না থাকলেও দিনভর ব্যস্ত থাকেন ব্যবসা নিয়ে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সচরাচার তেমন কোন অভিযানও করতে দেখা যায়না। অভিযোগ রয়েছে প্রত্যেক বিভাগকে ম্যানেজ করেই বছরের পর বছর এই অনৈতিক ব্যবসা করে আসছে মহল বিশেষ। স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। কারণ প্রশাসনের সঙ্গে দহরম মহরম থাকায় ঝামেলায় পড়ার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা।
শহরবাসী এই অনৈতিক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে নবাগত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড