উৎপল মণ্ডল(শ্যামনগর)প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ সহ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ-২০২৩ পেয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স। গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার আবুধাবীতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জায়েদ সাস্টেইনেবিলিটি প্রাইজ ২০২৩ প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে লিডার্স এর মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি এনজিও লিডার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের হল রুমে অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল।
মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদ, রনজীত বর্মণ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী ইমরান, সহ-সভাপতি অনাথ মন্ডল, অনলাই নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন সহ শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
এই পুরস্কারটি প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতার আল নাহিয়ানের মানবতাবাদের উত্তরাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ। জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ অলাভজনক সংস্থা, ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ এবং স্বাস্থ্য, খাদ্য, শক্তি, পানি এবং গ্লোবাল হাই স্কুলের বিভাগগুলিতে তাদের উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণামূলক টেকসই সমাধানের জন্য স্বীকৃতি দেয় ও প্রতিবছর পুরস্কার স্বরূপ ৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিজয়ীদের মাঝে প্রদান করে থাকে।
লিডার্স উপকুলীয় এলাকায় সুপের পানি ও কৃষিকাজে সেচের পানির সংকট নিরসনে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে। সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লিডার্স ১৮৫টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম, ৬৫টি পিএসএফ, ১০টি এমএআর, ৫২৫০টি বায়োস্যান্ড ফিল্টার স্থাপন, ২১টি পুকুর খনন ও ২টি রিভার্স অসমোসিস স্থাপন করেছে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনায় উন্নতির জন্য ৭টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৩টি খাল খনন এবং ৬৯টি মিনি পুকুর খনন করছে। লিডার্স-এর বাস্তবায়িত কার্যক্রমের ফলে কমপক্ষে ১৫,৮৮১ পরিবারের মাঝে নিরাপদ সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে এবং ভূ-পৃষ্ঠের এবং কম লবণাক্ত ভূগর্ভস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের কারণে প্রায় ৫০০ একর জমি শুষ্ক মৌসুমে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এসেছে।
Leave a Reply