নিজস্ব প্রতিনিঃ
বিশ্বের ঐতিহ্যবাহি স্থান সুন্দরবন। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করলেও। কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে সুন্দরবনের প্রাণী জীববৈচিত্র হারতে বসেছে সুন্দরবন।
শীতের শুরুতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরনের হরিণ শিকারিরা। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও তা মানছে না চিন্হিত হরিণ শিকারিরা। প্রতিনিয়ত গভীর সুন্দরবন থেকে ফাদ পেতে ও চোরাই বন্দুক দিয়ে হরিণ শিকার করছে শিকারিরা। এসকল পেতে রাখা ফাদে অনেক সময় বাঘ সহ সুন্দরবনের অন্যন্য প্রাণী বেধে মারা যায় বলে জানাযায়।
রিতিমত প্রশাসনের সাথে চিন্হিত হরিণ শিকারি সদস্যদের সক্ষাথাও মেলে ছোখে পড়ার মত। তাদের সাথে চুক্তিতে হরিণ শিকারে নেমে পাড়ে শিকারিরা। যে কারণে হরিণ শিকার করে পার পেয়ে যাচ্ছে চোরা শিকারিরা। বনবিভাগের সদস্যরা হরিণ শিকারিদের ধরতে অভিযানে যাওয়ার আগে খবর পেয়ে সর্তক হয় চক্রটি। বনবিভাগের অভিযানে হাতে নাতে কয়েকটি পাচারকারি সহ চোরাকারবারিদের যানবহন আটক করলেও। আইনের ফাকফোকড়ের মধ্যে দিয়ে বের হয়ে এসে। আবারও নেমে পড়ে হরিণ শিকারিতে।
সাতক্ষীরা রেন্জের তথ্য অনুযায়ী বনবিভাগের কাছে হরিণ শিকারিদের ৪ ষ্টেশনে ১০৮ জনের একটা তালিকাও রয়েছে। তার মধ্যে কোবাদক ষ্টেশনে ৩০ জন, বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশনে ৪২ জন, কদমতলা ষ্টেশনে ২০ জন, কৈখালী ষ্টেশনে ১৬ জন। তালিকা ছাড়াও আরো অনেকে হরিণ শিকারের সাথে জড়িত রয়েছে বলেও জানাযায়। এছাড়া হাতেনাতে ধারা যায় না বলে কোন ব্যাবস্থাও নিতে পারেন বলে জানান বনবিভাগ কর্মকর্তা।
চোড়া দামে হরিণের মাংস বিক্রয় হওয়ার কারণে ক্রেতাদের বিশ্বাস করাতে চোরা শিকারিরা জীবান্ত হরিণ শহরের পারে এনে ক্রেতাদের সামনে করা হচ্ছে জাবাই। জবাই করা হরিণের ছবি তুলে বাইরের ক্রেতাদারে কাছে পাঠানো হয় বিশ্বাসের জন্যে। যে কারণে হরিণের মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, এ মাংস নেওয়া থেকে বাদ পড়ছে না প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
চোরাকারবারিরা হরিণ শিকার করে নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যাবহার করছে। সাতক্ষীরা রেন্জের ৪ ষ্টেশনের আওয়াতাধীন কোবাদকের গোলখালি, গাড়িলাল বাজার, গাবুরা নাপিত খালি, বুড়িগোলিনীর ষ্টেশনের গাবুরার ৯ নং সরা, ডুমুরিয়া, ১৪ রশি দাতিনাখালির মহসিন সাহেবের হুলা ও চেয়ারম্যান মোড়। কদমতলার ষ্টেশনের মুন্সীগন্জ মৌখালী, সরদার বাড়ি, হরিনগর বাজার ও চুনকুড়ি। কৈখালী ষ্টেশনের পাশ্বেখালি, টেংরা খালি, কালিন্জি, ভেটখালি ও কৈখালী সহ চোরা শিকারিদের সুবিধা মত রুট ব্যাবহার করে থাকে।
পরিবেশবিদ মোহন কুমার মন্ডল বলেন, প্রতিনিয়ত হরিণ শিকারের কারণে সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। অচিরায় যদি হরিণ শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন না করা যায় তাহলে প্রাণী শূন্য হবে সুন্দরন।
সাতক্ষীরা রেন্জ কর্মমকর্তা ইকবাল হোসাইন চৌধুরি বলেন, আমার সব সময় সজাগ আছি। বিশেষ করে হরিণ শিকারিদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক তথ্য পেলে তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কায়েকটা হরিণ শিকারিকে আটক করে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply