শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিজ মিয়া’র বিরুদ্ধে নারী শিক্ষককে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাবের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩০/১১/২২ তারিখ জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওই নারী শিক্ষীকাকে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দেয়।
নারী শিক্ষক উপজেলার ৭৯ নং অন্ত্যাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের হযোগী হিসেবে কাজ করছে ঐ ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর আলীর।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিজ মিয়া
ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর আলী কে ব্যাবহার করে নারী শিক্ষক এর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে।
জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার ৭৯ নং অন্ত্যাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষীকা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কু প্রস্তাব প্রত্যাখান করে উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করছে।
এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি অব্যহত রেখেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ৭৯ নং অন্ত্যাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী নারী শিক্ষীকা গত মার্চে শেষ সপ্তাহে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক নুর আলীর কাছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নুর আলী ওই নারী শিক্ষকের ছুটি না মঞ্জুর করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক নুর আলি ওই শিক্ষীকাকে অনুপস্থিত লেখেন। এর পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কতৃক কারণ দর্শনের নোটিশ প্রাপ্ত হন। এর পর প্রধান শিক্ষক পরামর্শ দেন আপনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অফিসে একা গিয়ে দেখা করেন ঝামেলা মিটিয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষক নুর আলীর পরামর্শ অনুযায়ী ওই নারী শিক্ষীকা উপজেলা শিক্ষা অফিসে শিক্ষা অফিসার রফিজ মিয়ার কক্ষে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় অফিসার রফিজ মিয়া ওই নারী শিক্ষককে তার পাশের চেয়ারে বসতে বলেন। তিনি অফিসারে সম্মান রক্ষার্থে পাশের চেয়ারে বসলে রফিজ মিয়া কুপ্রস্তাব দেন। ওই ঘটনায় তিনি লজ্জা পেয়ে উঠে যেতে চাইলে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় ওই শিক্ষীকা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন বলে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। ভুক্তভোগী নারী শিক্ষীকার বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রধান শিক্ষক প্রতিনিয়ত মানসিক চাপে রেখেছেন তাকে। লিখিত অভিযোগে আরও জানা গেছে, সম্প্রতি প্রাক- প্রাথমিকের বই চুরি অপবাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে ওই নারী শিক্ষীকাকে লাঞ্ছিত করেন প্রধান শিক্ষক নুর আলী।
প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক ওই নারী শিক্ষীকার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের ভুল বুঝিয়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছে। ওই লিখিত অভিযোগের কপি শিক্ষা অফিস বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে ওই নারী শিক্ষীকাকে হুমকি দেওয়ায় তিনি চাকরি আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
ঘটনাটি এলাকায় ও বিদ্যালয় ছড়িয়ে পড়ায় ওই নারী শিক্ষক অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আমলে এনে প্রকৃত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন এলাকা বাসি।
শ্যামনগর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিজ মিয়া জানিয়েছেন, ওই নারী শিক্ষীকার বিরুদ্ধে আমার কাছে আরও অভিযোগ আছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সব মিথ্যা।
Leave a Reply