সংবাদ শিরোনামঃ
রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কলারোয়ায় ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কলারোয়ায় ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধঃ

৬ডিসেম্বর সাতক্ষীরার কলারোয়া পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে অবরুদ্ধ কলারোয়াকে হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে। ঐতিহাসিক ও গৌরব উজ্জ্বল এই দিনটি এবারেও কলারোয়াতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। সূত্র মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের কলারোয়ায় ৩শ’৪৩ জন বীর সন্তান অংশ নেন। শহীদ হন ২৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে কলারোয়ার বীর সন্তান রয়েছে ৯জন। আর এ পর্যন্ত কলারোয়ার ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলারোয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৬টি স্থানে।প্রতিটি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকবাহিনীকে পরাস্থ করেন। কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন এমসিএ মমতাজআহম্মেদ, ভাষা সৈনিক শেখ আমানুল্লাহ, সাবেক সংসদ বিএম নজরুল ইসলাম,যুদ্ধকালিন কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন, শ্যামাপদ শেঠ, ইনতাজ আহম্মেদ,মোছলদ্দীন গাইন ও ডাঃ আহম্মদ আলী। কলারোয়া এলাকাটি ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন কলারোয়ার দুই বীরযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফ্ফার। এই দুই বীরযোদ্ধার নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কলারোয়ার বীর সন্তান গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ আলী গাজী, আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও আঃ রউফ সহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী ওই যুদ্ধে ৬শতাধিক পাকিস্থানী সেনা নিহত হন। কলারোয়ায় হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। শহীদ হয় ১৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার সীমান্ত এলাকা কাঁকডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদেরআক্রমণের মুখে হানাদাররা কাঁকডাঙ্গার ঘাটি ছাড়তে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শেষদিকে মুক্তিযোদ্ধারা যশোরের বাগআঁচড়ায় দুঃসাহসিক হামলা চালিয়ে ৭ পাক রেঞ্জারকে হত্যা করেন। কলারোয়ার খোরদো এলাকাও একই সাথে মুক্ত করেন এবং ডমুক্তিযোদ্ধারা। কলারোয়ার বীর যোদ্ধাদের ধারাবাহিক সফল অপারেশনের মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। কিন্তু পাক বাহিনী যখন বুঝতে পারে পরাজয় নিশ্চিত, তখন তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কলারোয়ার বেত্রবতী নদীর লোহার ব্রীজ মাইন দিয়ে ধ্বংস করে পাকসেনারা পালিয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ারবিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনারা কলারোয়া ছাড়তে বাধ্য হয়। ৬ডিসেম্বর এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়াকে মুক্ত করেন। সাথে সাথে কলারোয়া থানা চত্বরে স্বাধীনদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কলারোয়ার স্বাধীনচেতা মুক্তমনের মানুষ উড়ন্ত পাখির মত উড়তে থাকে। ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল দিনটি এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবেন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এবং কলারোয়ার বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড