নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পীর কেবলা’র পাদদেশে তারই নামানুসারে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় “নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ। আজ সেই কলেজ স্বগর্বে স্ব-মহিমায় শিক্ষার আলোকছটা ছড়িয়ে চলেছে। নলতা পাক রওজা শরীফের শ্রদ্ধেয় খাদেম আলহাজ্ব মৌলুভী আনছার উদ্দীন আহমেদসহ সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত ও আলোকিত ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত ম্যানেজিং কমিটি ও আদর্শ শিক্ষকদের দিয়ে পরিচালিত কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নলতা মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজে ভর্তি হয়ে আদর্শ ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মর্যাদা দখল করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে। অনেকেই সরকারী ও বে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদ ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে যোগদানের পর হতে গত ৪ বছরে কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও কলেজের ভাবমূর্তি অনেকাংশে বেড়েছে। এ কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশের হার ২০১৮ সালে ৯৭.৮৭%, ২০১৯ সালে ৮৮.১৫%, ২০২০ সালে ১০০%, ২০২১ সালে ৯৭.৭৮%। এ কলেজটি শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে সফলতা লাভ করায় পরপর তিন বছরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ মনোনিত হয়ে সন্মাননা ও ক্রেষ্ট উপহার পেয়েছেন। কলেজের শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে রোভার স্কাউট দল গঠন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটে শ্রেষ্টত্বের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয় তারা।
জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও প্রযুক্তি সপ্তাহে ২০১৯ সালে ২য় পুরুস্কারের মর্যাদায় ভূষিত হয়। জানাগেছে, কলেজ পরিচালনা পর্যদের সভাপতি হিসাবে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলতার কৃতি সন্তান অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়।
বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন নলতা হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট, আদর্শ চিকিৎসক ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিত্ব ডাঃ আবুল ফজল মাহমুদ বাপ্পী ও সদস্য সচিব কলেজের অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট গভর্ণিং বডির সমন্বয়ে কলেজটি পরিচালিত হওয়ায় আজ এ কলেজটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি উক্ত কলেজের শিক্ষক ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছর কলেজের উদ্যোগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানমালায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সরব উপস্থিতিতে যথাযথ ভাবে উদযাপিত হয়। তারপরেও কতিপয় স্বার্থান্বেশী ব্যাক্তি কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয় বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদ। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এ প্রতিনিধিকে বলেন কলেজটি ইতিমধ্যে পৃথক দুটি ভবন ও সুরম্য প্রচীর নির্মিত হয়েছে, নির্মানাধীন রয়েছে আধুনিক সাইকেল ও মটর সাইকেল গ্যারেজসহ প্রয়োজনীয় কার্যাদী চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কল্যানে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
Leave a Reply