সংবাদ শিরোনামঃ
শ্যামনগরে কৃষক নেতৃত্বে ধানজাত গবেষণার মাঠ দিবস

শ্যামনগরে কৃষক নেতৃত্বে ধানজাত গবেষণার মাঠ দিবস

 শ্যামনগর প্রাতিনিধিঃ
 বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিক ও ধুমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামে কৃষক নেতৃত্বে ধানজাত গবেষণা প্লটের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে (১০ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায়।
ধুমঘাট শাপলা কৃষি নারী সংগঠনের সভানেত্রী জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষানী অল্পনা রানী মি্স্ত্রীর সভাপত্তিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিও”র নির্বাহী পরিচালক  গাজী আল ইমরান, বারসিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শিক্ষক সাংবাদিক  রনজিৎ বর্মন, উপজেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সাইদুজ্জামান, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম, উপকূলীয় প্রেসক্লাবে”র সভাপতি আব্দুল হালিম প্রমূখ।
এসময় মাঠ দিবসের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারনা প্রদান করেন  বারসিক কৃষিবীদ আবুল কালাম আজাদ।
 মাঠ দিবসে বক্তব্য দেন, কৃষক নেতা  হাবিবুর , ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কৃষক ভুধর চন্দ্র মন্ডল, কৃষাণী মিতা রানী, কৃষক রফিকুল ইসলাম, কৃষক দেবীরঞ্জন মন্ডল।
এসময়,বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা নানান প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে যাচ্ছে তার মধ্যে ধান হলো উল্লেখযোগ্য। এই ধান আমাদের ঐতিহ্য – সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যেগুলো বারসিক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী সম্লিত ভাবে সংরক্ষণ করে যাচ্ছে এগুলো কৃষক থেকে কৃষক, গ্রাম সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সম্প্রসারণ করার আহবান জানান। এবং যতটা সম্ভব রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
মাঠ দিবসে শুরুতে অংশগ্রহনকারীরা কৃষক নেতৃত্বে ধানজাত গবেষণা প্লট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শণে এলাকা উপযোগী ধানের জাত নির্বাচন করেন বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যর উপর ভিত্তি করে। যে জাতগুলো লবনাক্ততা, জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এবং পোকামাকড়ের আক্রমন কম হবে, ধানের গাতুনী ঘন ও শিষের দৈঘ্য লম্বা এবং সময়কাল বিবেচনা করে তালমুগুর, কুটেপাটনাই, চারুলতা, চিনিকানি, পাটনাই,কলমিলতা,   দারশাইল, নাইদারশাইল, নারকেল মুচি ধান নির্বাচন করেন। সাথে জাতগুলো এলাকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ গ্রহন করবেন। ধুমঘাট গ্রামের কৃষক গংগারাম মিস্ত্রির তত্বাবধানে  ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৬২ টি স্থানীয় ধান জাত নিয়ে গবেষণা কাযক্রমটি পরিচালনা হয়।
সমগ্র অনুষ্টানটি সঞ্চালনা করেন বারসিকের  কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ ও সবুজ সংহতির আহবায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড