সংবাদ শিরোনামঃ
সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে সাতক্ষীরা ৪ আসনে কাজ করতে চাই-সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোঃ আলাউদ্দিন রাত পোহাতেই শুরু হবে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসব শেষ মুহুর্তেও কতর্ব্য নিষ্ঠার পরিচয় ইউএনও’র রাতের আধাঁরে বিএনপি ও যুবদল নেতার নেতৃত্বে ১২শ বিঘার চিংড়িঘের দখল কালিগঞ্জে এক প্রতারককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল কালিগঞ্জে ২’শ পরিবারের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করলেন প্রত্যাশা ফাউন্ডেশন শ্যামনগরে কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে শিক্ষক আয়ুব আলী’র উপর হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে শ্যামনগরে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন শ্যামনগরে বারসিক’র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও  দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবকদের ত্রৈমাসিক সভা ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস” কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী
কালিগঞ্জে শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা 

কালিগঞ্জে শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা 

হাফিজুর রহমান শিমুল কালিগঞ্জ ( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ

কার্তিকের মাঝামাঝি এসে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে  পথ-ঘাট, এদিকে শীত মৌসুম আসতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।রাতে ঠান্ডা-হিমেল বায়ু আর সকালের শিশির ভেজা ঘাস-পাতাই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিকারীতে গাছিদের পরিবারে মহা ব্যস্ততা। কালিগঞ্জের গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ। শীত এগিয়ে আসছে। অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুর গাছের কদরও বেড়েছে। খেজুর গাছ পরিচর্যা পরিষ্কারসহ রস সংগ্রহের উপযোগী করতে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরাও। অনেকেই আবার মৌসুম চুক্তিতে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, জীবনের ঝুকি নিয়ে গাছিরা কোমরে মোটা রশি বেধে খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাড়ির আঙ্গিনায় বা রাস্তার ধারে রয়েছে সারিসারি খেজুর গাছ।  ভোরের সৃর্য্য ওঠার আগেই গাছ থেকে রসের হাঁড়ী /ভাড় নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আশে গাছিরা। তবে অগ্রহায়ণ মাসে পুরোদমে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হবে এবং তিন থেকে চার মাস ব্যাপি খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি হবে বলে জানান গাছিরা। খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে সংসারের খরচ মিটানোর পাশাপাশি অনেকে আবার বানিজিক ভাবে গুড় তৈরি ও করে বাজারে বিক্রি করবে বলে জানা যায়। এ উপজেলা এলাকার ১২টি ইউনিয়নের ১০৮ টি ওয়ার্ডেই কমবেশি খেজুর গাছ লক্ষ করা যায়। নব্বই দশকের পর থেকে এই জনপদে মৎস্যঘের বেড়ে যাওয়ায় এবং লোনা হাওয়ার কারণে কমতে থাকে খেজুর গাছের সংখ্যা। বর্তমানে ঠুঙি, দোড়া আর হাতে ধারালো দা নিয়ে গাছি দের আর তেমন দেখা যায়না বলেই গৃহস্থালিদের খেজুর গাছ থাকলেও গাছি যথাযথভাবে না মেলায় তারা মনোবল হারায়ে ফেলেছে। এলাকা ভিত্তিক দুই একজন গাছি পাওয়া গেলেও অধিক মজুরি দিয়ে স্বাধের রস সংগ্রহ করতে হয়। সবমিলে সুজলা সুফলা গ্রাম বাংলার এই উপজেলার গাছিদের ব্যস্ততা নজর কেড়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড