সংবাদ শিরোনামঃ
দেবহাটার কুলিয়া ব্রীজের তলার গোল স্প্রীং রোলার চুরি, ঝুকিপূর্ন ব্রীজে সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা

দেবহাটার কুলিয়া ব্রীজের তলার গোল স্প্রীং রোলার চুরি, ঝুকিপূর্ন ব্রীজে সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা

আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ
দেবহাটা উপজেলার লাবণ্যবতী খালের উপর নির্মিত কুলিয়া ব্রীজের তলার গোল স্প্রীং রোলার সহ বিয়ারিং প্যাড চুরি করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচলে প্রচন্ড ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে ব্রিজটি। যেকোন সময় ব্রীজ ধ্বসে সাতক্ষীরা টু মুন্সিগঞ্জের মানুষের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে ৯টার দিকে একজন ছাগল চড়াতে আসেন উক্ত ব্রীজের দক্ষিণ পাশে নিচের দিকে। সেসময় তিনি দেখতে পান ব্রীজের একটি বীমের নিচে থেকে গোল স্প্রীং রোলারের জায়গাটি ফাঁকা। তখন সে উপরে এসে লোকজনের সাথে বিষয়টি নিয়ে বলাবলির এক পর্যায়ে কুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন ও সেক্রেটারী সাংবাদিক আবু হুরাইরাকে খবর দেয়। সাথে সাথে তারা সেখানে যেয়ে বিষয়টি দেখে হতবাক হয়ে যায়। এরপরই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বাজার কমিটির সেক্রেটারী সাংবাদিক আবু হুরাইরা তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে লাইভ করে। সাথে সাথে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এরপরই বিকেল ৩ টার দিকে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস. ডি মতিয়ার রহমান এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারন এই মুহুর্তে ভারী যানবহন চলাচল করলে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে পারাপারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্তা গ্রহন করছি। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, সরকার পরিবর্তনের পর এই এলাকায় জুয়াড়ী ও মাদকাসক্তদের আনাগোনো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাদের দ্বারা এধরনের চুরি সংগঠিত হতে পারে। এব্যাপারে কুলিয়া বাজার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই জুয়াড়ী ও মাদকাসক্তরা স্থানীয় লোকজনের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের নিবৃত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ব্রীজের নিজের দিকের ঘটনা হওয়ায় ও সেদিকে কোন দোকানপাট না থাকার কারনে বাজারের নাইটগার্ডের পাহারার আওতায় উক্ত ঘটনাস্থল নেই। তবে চুরির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওয়তায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন কুলিয়া বাজার কমিটি। উল্লেখ্য, ঘটনা স্থলে এক বিগত ২০ বছর আগে লঞ্চ ও টলার ঘাট হিসেবে ব্যবহার হতো। সেখানে প্রতিদিন প্রচুর যাত্রী পানি পথে যাতায়াতে উপস্থিত হতো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড