সংবাদ শিরোনামঃ
কয়রায় সুন্দরবনের ৩৪ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ১ সাতক্ষীরা উপকূলে শীত জেগে বসেছে, নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে অভিযোগ স্থানীয়দের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নি*হ*ত ৪ শ্যামনগর উপজেলা আমিন (সার্ভেয়ার) সমিতির নতুন কমিটি গঠন কালিগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  আজকের মত শীত কি পুরো মাস জুড়েই থাকবে যা জানালো আবহাওয়া অফিস শ্যামনগরে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় জনসম্পৃক্ততা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত  শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী ৮ নং ওয়ার্ড ও ইউনিটির কমিটি গঠন  কালিগঞ্জে কৃষকদলের ঊঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্যামনগরে দ্বন্দ্ব রূপান্তর বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
উপকূলের ৩০০ পরিবারের মাঝে বীজ বিতরণ

উপকূলের ৩০০ পরিবারের মাঝে বীজ বিতরণ

বাবলু জোয়ারদারঃ

পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লবণাক্ত পরিবেশে কৃষি কাজ করে বেঁচে থাকার জন্য উপক’লীয় অঞ্চলের কৃষকেরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ (২১ নভেম্বর ২০২২) উপক’লীয় অঞ্চল সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন ও বারসিকের সহায়তায় ৩০০ জন কৃষককের মাঝে লালশাক, পালন শাক, মুলো ঢেড়স, মেীরির জাতের স্থানীয় সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।
বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বীজ বিতরন অনুষ্টানে সাধু চরন মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউপি সদস্য জাহানারা খানম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য তপন কুমার মন্ডল, রনজিত রপ্তান, তরুন মন্ডল, তুষ্ট চরন মন্ডল।
চাষের জন্য মিষ্টি পানির অভাবে কৃষকেরা কৃষি থেকে দুরে সরে যাচ্ছেন। লবণ পানির চিংড়ী চাষের ফলে কৃষি জমির মাটি ও হয়ে পড়েছে লবণাক্ত। এর মাঝেও কেউ কেউ লবণ পানি ও মাটিতে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। মারাত্মক লবনাক্ত মাটি-পানি ও পরিবেশ মোকাবেলা করে পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বসতভিটায় সারা বছর সবজি চাষ করছেন।
সাধু চরন মন্ডল বলেন -“এ সহায়তা আমার কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দিবে। এই সবজি বীজ থেকে সবজি চাষ করে আমরা পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে পারবো। এই বীজ সহায়তার ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলের স্থানীয় কৃষি প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর জীবনযাত্রা পুনঃগঠনে স্থানীয় মানুষের বেঁচে থাকার শক্তি-সাহস ও সংগ্রামকে আরো বেশি শক্তিশালী ও উদ্যোগী করে তুলবে।
ইউপি সদস্য জাহানারা খানম ও তপন কুমার মন্ডল বলেন- এসব শাক সবজি লাগিয়ে আমার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা যেমন পূরণ করতে পারবো, তেমনি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারবো, যা আমার অভাব-অনটনের সংসারে ব্যাপক কাজে লাগবে। এছাড়া চাষকৃত শাক সবজি পাড়া- প্রতিবেশীদের সাথেও সহভাগিতা করবো। এর মাধ্যমে আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। গ্রামের অন্যদের স্বল্প সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড