শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের তরকারি বাজারে “মায়ের দোয়া” গোশতের দোকানে রাতের আঁধারে রোগগ্রস্ত বকনা গরু জবাই করার ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দোকানের মালিক রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নশেদ আলী গাজীর পুত্র মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার তিনজন ব্যবসায়িক অংশীদার এই অসাধু কাজে জড়িত। তার অংশীদারদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর হাজিপুর গ্রামের আব্দুল গফফার ওরফে কালো গফফার, নূরনগর গ্রামের শহিদুল ইসলাম এবং হাফিজুর রহমান।
নূরনগর বাজারের নৈশ প্রহরীদের মতে, তারা রাত্রিকালীন ডিউটির সময় অসুস্থ গরুগুলোকে ঠেলতে ঠেলতে বাজারে নিয়ে আসতে দেখেন। প্রহরীরা আনোয়ারুল ইসলামকে এই রোগগ্রস্ত গরু জবাই না করার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি তা উপেক্ষা করে উদ্ধতভাবে বলেন, গরু কাটলে কার কি সমস্যা? যেখানে খুশি অভিযোগ করো।
এ ঘটনায় নৈশ প্রহরীরা ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন মন্টুকে বিষয়টি জানান।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন মন্টু, ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন লাচ্চু, ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে দোকানে উপস্থিত হন। তারা মালিক আনোয়ারুল ইসলামকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে তার অংশীদার শহিদুল ইসলাম পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ আর হবে না বলে ভুল স্বীকার করেন।
ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন মন্টু বলেন, নূরনগর বাজারে রোগগ্রস্ত গরু বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখানকার বাজারে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসে বিশ্বস্ততার সঙ্গে গোশত কিনতে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই বাজারের সুনাম নষ্ট করছে। আমরা আজ মায়ের দোয়া গোশতের দোকান বন্ধ করে দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।
বাজারের সুনাম ও মানুষের আস্থা রক্ষায় এই কঠোর পদক্ষেপকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে।
Leave a Reply