সাতক্ষীরা সংবাদদাত,

সাতক্ষীরায় সংবাদ সংগ্রহকালে চ্যানেল 24 এর সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি আমিনা বিলকিস ময়নাকে লাঞ্চিত করলেন পাসপোর্ট অফিসের এডি উত্তম কুমার। শনিবার দুপুরে এই সহকারি পরিচালক উত্তম কুমার কতৃক সময় নিয়ে তার সাক্ষাতকার গ্রহণের সময় নিয়ে আসা হয়। রবিবার সকালে পাসপোর্ট অফিসের সামনে ভিড় থাকায় ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করার পর প্রচন্ড ভিড় ঠেলে উনার কথা মোতাবেক উনার কাছে পৌছানোর পর বারবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেন নি। এক পর্যায়ে তিনি ধাক্কা দিয়ে ফেলেন। তার ধাক্কায় মাইক্রোফোনের তার ও ক্যামেরা তাৎক্ষনিক ছিড়ে যায়।
আমিনা বিলকিস ময়না বলেন, সম্প্রতি পাসপোর্ট অফিসে স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুন পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সংবাদের জন্য ফুটেজ সংগ্রহ ও সাধারণ আবেদনকারীদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। শেষ পর্যায়ে কতৃপক্ষের বক্তব্যের জন্য সহকারি পরিচালক উত্তম কুমারের বক্তব্য গ্রহণকালে তিনি উত্তর না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে টিভির বুম মাইক্রোফোনসহ ফেলে দিতে উদ্যত হন। তার ধাক্কায় মাইক্রোফোনের তার ও ক্যামেরা তাৎক্ষনিক ছিড়ে যায়। প্রসঙ্গত, সহকারি পরিচালক উত্তম ২৫ আগষ্ট রবিবার সাতক্ষীরা অফিসে জয়েন করলেও তিনি শনিবার সাতক্ষীরা অফিসে আসেন। তার সাথে সংবাদ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। তিনি রবিবার সকালে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী যাওয়ার পর তিনি এধরনের অসৌজন্যতা মুলক আচরণ করেন।
সাতক্ষীরা টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক আবুল কাশেম বলেন, সাতক্ষীরা টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও চ্যানেল 24 এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আমিনা বিলকিস ময়নাকে লাঞ্চনার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি সাংবাদিকতা ও নারী সাংবাদিকতার পথে শারিরীক আক্রমন ও বাঁধা স্বরুপ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সাতক্ষীরা টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও চ্যানেল 24 এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আমিনা বিলকিস ময়নাকে লাঞ্চনার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি শুনেছেন যথাযথ কতৃপক্ষকেও তিনি অবগত করবেন।