ডেস্ক রিপোর্টঃ শ্যামনগরের গাবুরায় মেগা প্রকল্পের অধিনে খালের পার্শ্ব ও খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল খনন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু খাল খননের কাজ শেষ না হতেই আবারো খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে গাবুরার খলিসাবুনিয়া গ্রামের মৃত তফছির গাইনের ছেলে মাকছু গাইন ও মাকছু গাইনের ছেলে মিলন গাইনের বিরুদ্ধে।
এলাকাসুত্রে জানা যায়, সকল বাধা নিষেধকে উপেক্ষা করে গায়ের জোরে এই স্থাপনা তৈরি করছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ খাল খননের আগে খালের পার্শ্ব ও খালের উপরে নির্মিত সকল ঘর-বাড়ি দোকান-পাট ভেঙে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখনো খাল খনন শেষ না হতেই কেউ কেউ গায়ের জোরে খালের উপরে দোকান-পাট নির্মাণ করছে। এমন ভাবে গায়ের জোরে খালের উপর একের পর এক দোকান-পাট তৈরি করতে লাগলে খাল খনন শেষ করতে পারবে না। আর খাল খনন শেষ না হলে রাস্তা-ঘাট তৈরি হবে না। যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হবে সবার।
আরো পড়ুন উপকূলীয় বার্তাঃ
এবিষয়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য ইমাম হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকার মেগাপ্রকল্পের অধিনে গাবুরার সকল খাল খনন করার উদ্যোগ নেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালের পার্শ্ব ও খালের উপরে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে খাল খননের কাজ শুরু করেন। কিন্তু খাল খননের কাজ শেষ না হতেই দেখি খলিশাবুনিয়া গ্রামের মাকছু গাইন ও তার ছেলে মিলন গাইন খালের উপর দোকান নির্মাণ করছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিষেধ করলেও আমার বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে তারা গায়ের জোরে এই দোকান নির্মাণ করতেছে। আমার নিষেধ না শুনলে আমি বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করি।
খাল খননের কাজ শেষ না হতেই স্থাপনা তৈরির বিষয়ে ঠিকাদার মনির হোসেন বলেন, খাল খননের আগে সরকারি জায়গা দখল করে যারা স্থাপনা তৈরি করেছিলো, সেগুলো সব ভেঙে দিয়ে তারপর খাল খননের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার ফলে আপাতত কার্যক্রম বন্ধ আছে। বর্ষার মৌসুম শেষ হলেই আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো। তার আগে যদি কেউ খালের পাড় অথবা খালের ভিতরে স্থাপনা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply