কয়রা প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার একটি অজপাড়া গায়ের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে গিলাবাড়ি গ্রামের মৃত বাবর আলী গাজীর পুত্র জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে রাস্তার মাঝখানে ঘেরা দিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে । ঘটনাটি ঘটেছে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি গ্রামে ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শাহাবুদ্দিন গাজীর বাড়ি হইছে কবির মাস্টারের বাড়ির অভিমুখে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে স্থানীয় জাহাঙ্গীর ঘেরা দিয়ে রেখেছে। সে কারণেই এই সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। শুধুমাত্রই মানুষ যাতায়াত করে। প্রতিদিন বিভিন্ন ভ্যান ও মোটরসাইকেল রাস্তার ভিতর দিয়ে চলাচল করতে গেলে জাহাঙ্গীরের ঘেরা দেওয়া স্থানে এসে বেধে যায় পরবর্তীতে তাদের ব্যাগে ফিরে যেতে হয়। এতে মানুষ প্রতিদিন বিপদে পড়ছে।
রবিবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার মাঝখানে একটি ঘেরা দেওয়া আছে ঘেরার এক সাইটে এক থেকে দুই ফুট জায়গা ফাঁকা রাখা আছে সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে লোকজন চলাচল করতে পারে। এবং ভ্যান ইজিবাইক পাওয়ার টেলার অটোরিকশা সহ ছোট বড় যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
এবিষয়ে জানতে মোঃ জাহাঙ্গীরের ব্যাবহৃত মোবাইল নং এ কল করা হলে তিনি বলেন, আমাদের জায়গা সে কারণেই আমরা ঘেরা দিছি । তিনি আরও বলেন, আমাদের ২ শরীকের সম্পত্তি আমরা মিলে ঘেরা দিয়েছি। জনসাধারণের চলাচলে পথে ঘেরা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সূদত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মাহবুবুর রহমান ডাবলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি তিন বছর মেম্বারে হয়ে দেখিতেছি ওরা এই রাস্তায় এইভাবে ঘেরা দিয়ে রাখছে কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তারা ঘেরা উঠাতে দেয়নি। বর্তমান ধানের মৌসুমে গাড়ি-ঘোড়া তো চলাচল করতে পারে না এমনকি কোন লোকজন ধানের বোঝা নিয়ে ও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে জেনেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply