শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১২শ বিঘা আয়তনের ‘বিসমিল্লাহ-০৩’ নামের একটি চিংড়িঘের দখল করেছে নিয়ে দুবৃর্ত্তরা। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে দুই শতাধিক লাঠিয়াল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উপজেলার ঝাাঁপা-সোনাখালী গ্রামে অবস্থিত ঘেরটি দখল করে। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমজাদুল ও যুবদল আহবায়ক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উক্ত জবর দখলের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘেরের বাসা সিসি ক্যামেরা ভাংচুরের পাশাপাশি কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘেরের ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের কোন হদিস মেলেনি। এঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে তীব্র আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘের মালিক রবিউল্লাহ বাহারের ভাই সফিউল্লাহ জানান দু’পক্ষের মামলা চলমান থাকায় সম্প্রতি বিজ্ঞ আদালত উক্ত ঘেরে একজন ‘রিসিভার’ নিয়োগ করেন। বাদি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালত পুর্বের আদেশ স্থগিত করার পর রাত নয়টার দিকে বিএনপির সহ-সভাপতি আমজাদুল ও যুবদল সভাপতি হাফিজুরের নেতৃত্বে দখলের ঘটনা ঘটে।
সফিউল্লাহ আরও জানান দখলের পরপরই হামলার সাথে জড়িতরা ২০/২২টি জাল ব্যবহার করে ৭০ মনেরও বেশী মাছ লুটে নেয়। ঘের দখলের খবর ছড়িয়ে পড়ার স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বী জমির মালিকদের মধ্যে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।
জমির মালিক মাখন লাল জানান দীর্ঘদিন সাত্তার মোড়ল তাদের জমি জবর দখলে নিয়ে অবৈধভাবে ঘের পরিচালনা করতো। তবে ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সাত্তার মোড়ল কৌশল করে বিএনপির সহ-সভাপতি আমজাদুল ইসলামের কাঁধে ভর করে তাদের মত নিরীহ জমি মালিকদের জিম্মি করার পুরানো কৈৗশলে হেঁটেছে।
এবিষয়ে জানতে বিএনপি সহ-সভাপতি আমজাদুল ইসলামের সাথে কথার বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যুবদল সভাপতি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন কর দেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দখলদার লাঠিয়াল বাহিনীর এক সদস্য জানান সন্ধ্যার পর পাখিমারা এলাকা থেকে তিন/চারশ মানুষ যেয়ে ঘেরটি দখল করেছে। এসময় কিছু ভাংচুরসহ কর্মচারীদের সামান্য মারধরের ঘটটনা ঘটেছে।
শ্যামনগর থানার ওসি(তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। বে-অইনী কাজ করলেও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply