কয়রা (খুলনা )প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ভান্ডারপোল গ্রামের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মরহুম হাজী রুহুল আমিন গাজীর ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত বুধবার ৩০ অক্টোবর মরহুমের বাসভবনে এই মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়। জানা গেছে,মরহুম হাজী রুহুল আমিন একজন বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী , সমাজসেবক, বহু মসজিদ মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট সুনাম সৎ,আদর্শবান ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ জন্য এলাকায় সকল মানুষ তাকে দলমত নির্বিশেষে শ্রদ্বা করতেন।
উল্লেখ্য। গত ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর খুলনা শহরের অদূরে নিরালা আবাসিক এলাকার শিশু পার্কের সামনে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন গাজী (৪৫ ) কে গুলি করে হত্যা করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,এই ঘটনার ৫ বছর পূর্বে তার অপর ভাই বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার কে গভীর রাতে নিজ শয়ন কক্ষে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।২০০১ সালে ৩০- অক্টোবর তিনি সকাল আনুমানিক পৌনে ৯ টায় তার অপর দুই পরিচিত জনকে রিক্সা যোগে সঙ্গে নিয়ে খুলনায় আসার পথে নিরালা শিশু পার্কের দক্ষিণ পাশে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি নিহত হন।জানা গেছে, ওঁতপেতে থাকা ২ জন অস্ত্রধারী যুবক তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়া খুনিদের বিচারের দাবি জানান মরহুমের পরিবার। বর্তমান সরকারের কাছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরা ।মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মরহুম হাজী রুহুল আমিন গাজী ও তার ভাইয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
Leave a Reply