শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
পুকুর থেকে ধান খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া ইউনিয়নের নাগবাটি গ্রামের সরদার বাড়ির বিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্যামনগর থানা পুলিশের এসআই অমিত মন্ডল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া ইউনিয়নের নাগবাটি গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আলী আকবর (৭৫)।
সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ১নং ভূরুলিয়া ইউনিয়নের নাগবাটী গ্রামের মৃত রশিদ সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫), শাহিদুল ইসলাম (৪৬) ও মেহেদী হাসান (৫০) এবং নগবাটী গ্রামের শাহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী কুলসুম বিবি (৩৬)।
নিহতের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন জানান, ১০ কাঠা জমিতে থাকা যৌথ মালিকানাধীন পুকুরের মধ্যে তাদের দুই ভাগ ও রশিদ সরদারের এক ভাগ। এক মাস আগে বোরো ধান চাষ করা নিয়ে পুকুরের পানি দিয়ে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে রশিদ সরদারের ছেলেদের বিরোধ বাধে। বিষয়টি নিয়ে নাগবাটি বায়তুর নূর তারা মসজিদের পাশে বসাবসি হয়। সেখানে উপস্থিত ভূরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম লাভলু পানি সেচের বিষয়টি নিয়ে সময় নির্ধারণ করে দেন। সে অনুযায়ি বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা শ্যালো মেশিন দিয়ে ধান খেতে পানি দিতে গেলে রশিদ সরদারের ছেলে মনিরুল, শাহীদুল, মেহেদী হাসান, শাহীদুলের স্ত্রী কুলসুমস ও মনিরুলের স্ত্রী খাদিজা একত্রে বড় ভাই আলী আকবরের উপর হামলা চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান, হামলায় নয়, উভয়পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তিতে বৃদ্ধ আলী আকবর মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক পিঙ্কু কুমার মণ্ডল জানান, মৃত আলী আকবরের লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মৃতের ছেলে রওশান আলী বাদি হয়ে রশিদ সরদারের তিন ছেলে ও দুই পুত্রবধুর নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অবিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply