পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের (হালিমপুর) হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার আঙ্গিনায় প্রতিষ্ঠিত শহীদ মিনারটি অযত্ন অবহেলার শিকার।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মন্ডলীদের উদাসীনতা ও অবহেলার শিকার হয়ে শহীদ মিনার মুখ থুবড়ে আছে। বছরে ২১শে ফেব্রুয়ারী একবারই আসে। সেদিন বাধ্য হয়ে দায় সাড়া ভাবে ফুল দেওয়া হয় আন্তরিকতা বিহীন অবস্থায়।
অথচ একটি জাতি সত্ত্বার পরিচয় বহন করে, একটি ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য বহন করে, ইতিহাস, চেতনা বোধ সহ বাঙ্গালি জাতি স্বত্ত্বার পরিচয় বহন কারী শহীদ মিনারের প্রতি অবজ্ঞা অবহেলা বাঙ্গালি স্বত্ত্বা বোধ চেতনা বোধে আঘাতের শামিল!
স্থানীয় লোক জনের অভিযোগ এই যে, অনেক সময় ছাগল, কুকুরও শহীদ মিনারের বেদীতে ওঠে ও অবস্থান করে।
হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক বিনা বেতনে এমপিও হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকতা করে নিরলস ভাবে শ্রম দিয়ে গেছেন আমৃর্ত্যুকাল পর্যন্ত সে মহান ব্যক্তি পাবনা জেলার বিশিষ্ট কবি ও সমাজ সংগঠক
প্রয়াত কবি ডাঃ আব্দুল হালিম মাস্টার এর বড় ছেলে প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
(কবি-সাংবাদিক, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী) অভিযোগ করেন মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কর্তৃপক্ষরা শুধু চাকচিক্যে বিশ্বাসী।
বাজেট থাকলে কাজ হয়, বাজেট নাই কোন কাজও নাই! কমিটির অধীনে নিয়োগ থাকলে মিটিং তথা অন্যান্য কাজ কর্ম যথাযথ ভাবে হয়। আর অন্য সময়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয় কি হয়না তা বিবেকবান অভিভাবক ও জনসাধারনই ভালো জানেন।
শহীদ মিনারে আর কয়েক ঘনৃটা পরই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর পূর্ব মুহুর্তেও ময়লা আবর্জনা ধুলাবালিতে নোংড়া হয়ে আছে শহীদ বেদী। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রসাশন ও বিবেকবানদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
যাতে (হালিমপুর) হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার শহীদ মিনারের মত বাংলাদেশে আর কোন শহীদ মিনার অবহেলিত অবজ্ঞার শিকার না হয়।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সচেতন মহল সহ সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Leave a Reply