শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির জোকসাজসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগরে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন কর্তৃক সুপিয়ান গাজী, পিতা- নওশের আলী গাজী, মাতা-তায়মা বেগম, গ্রাম-জেলেখালী, উপজেলা-শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা-কে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে তাহার বিদ্যালয়ে পাতানো নিয়োগের মাধ্যমে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরি দিয়েছেন।
সুফিয়ান গাজী ১৯৯৯ সালে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় এবং প্রথম শাময়িক পরীক্ষা দেয় , দ্বিতীয় শাময়িক পরীক্ষা না দিয়ে , বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। ২০০০ সালে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করার কথা থাকলেও সে কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। অথচ, তাকে ২০০১ সালে ৯ম শ্রেণি উত্তীর্ণ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক ভূয়া সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। এমনকি ভর্তি খাতায় তাহার জন্ম তারিখ কলম দিয়ে কেটে বয়স কমিয়েও দিয়েছেন।
তিনি এ ধরনের ভূয়া সার্টিফিকেট বিক্রয় করে থাকেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ ইসমাইল হোসেন ও জি,এম, সালাউদ্দীন আহমেদ।
অত্র বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের এহেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন বিদ্যালয়ের
অভিভাবকবৃন্দ সহ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটা আমি জানিনা এটা আপনি বললেন আমি শুনলাম আমি এটা দেখবো আমি তথ্য ছাড়া কোন কাগজ দেই নাই আমার অফিস সহকারি সব কাজ করে, যেকোনো জিনিস লিখে দেয় আমরা দিয়ে দেই ,সার্টিফিকেট যে যখন চায় আমরা তখন তাকেই দেই মানুষের উপকারের স্বার্থে।
এ বিষয়ে অফিস সহকারির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এই সার্টিফিকেট হেড স্যার দিয়েছিল এই সার্টিফিকেটের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
Leave a Reply