শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
দোকানে খাবার কিনতে যেয়ে দশবছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের স্কুলবাড়ি এলাকায়। আশংকাজনক অবস্থায় ভুক্তোভোগী শিশুকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। এদিকে ধর্ষনের চেষ্টার শিকার ঐ শিশুর মা বাদি হয়ে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তোভোগী শিশুর মা জানান তার মেয়ে পাশের একটি মহিলা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে প্রায়ই সেখানকার রেজাউল সরদার ও মুকুল সরদার তার মেয়েকে নানাভাবে উত্যক্ত করতেন। তিনি আরও জানান সোমবার সন্ধ্যার আগে মাদ্রাসা থেকে ফিরে খাবার কিনতে স্থানীয় দাউদ সরদারের দোকানে যায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত ঐ দোকানদারের ছেলে রেজাউল সরদার ও তার বন্ধু মুকুল সরদার শিশুটিকে ফুসলিয়ে পাশের ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। ধর্ষনের একপর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে রাস্তার লোকজন সেখানে জড়ো হলে দুই লম্পট পালিয়ে যায়।
ভুক্তোভোগী শিশুর পিতা জানান, ঘটনার পর তারা শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ায় রেজাউলের বোন হোসনেআরাসহ অন্যরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এক লাখ টাকা নিয়ে মিটিয়ে নেয়ার প্রস্তাব না মানায় তারা আরও বেশী টাকা দিয়ে মামলা খেয়ে ফেলবে বলেও আস্ফালন দেখাচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু হোসেন জানান ঘটনা জানাজানির পর তিনি ভুক্তোভোগীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মুকুল হোসেন জানান তিনি দোকানে বসে টিভি দেখলেও রেজাউল ঘটিয়েছে কি না তা জানেন না।
শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক পিংকু জানান অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। ভুক্তোভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। যার নং ১০, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply