বাংলাদেশের সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপর লীলাভূমি। যেখানে স্বল্প সংখ্যক বনরক্ষীদের জীবন বাজি রেখে সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত।
সাতক্ষীরা পশ্চিম বনবিভাগের আওতাধীন১৫০১ পয়েন্ট ৪ বর্গ কিলোমিটার বন রয়েছে।
এই বন সুরক্ষায় রয়েছে বনবিভাগের চারটি স্টেশন আট টি টহল ফাঁড়ী চারটি সুন্দরবন অভয়রন্য কেন্দ্র ও একটি রেঞ্জ।
বনবিভাগের সর্বমোট জন সংখ্যা ১৪৩ জন, তবে
সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন রয়েছে কয়েকটি সাগর, অশংখ্য নদী ও খাল।
সাতক্ষীরা সুন্দরবনে রয়েছে বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, বন মোরগ,মুরগি সহ রয়েছে বহু জাতীর পাখির বসবাস, তারই মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন পাহারা দিয়ে যাচ্ছে বনবিভাগের বনকর্মিরা।
এই বনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লীলাভূমি হয়েও প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ বন্যপ্রাণির আক্রম, যেমন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ সহ শারীরিক সমস্যা যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে।
সেই নির্জন প্রকৃতির মাঝে টিকে থাকতে হয় বন রক্ষীদের,কোথাও বনের মধ্যে নির্জনতায় আপনজন অথবা জনমানুষ শূন্য এই প্রকৃতির নির্বাসনে কোন নেটওয়ার্ক ও মেলেনা সেখানেই।
এসব কিছুর মধ্যে ও সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকেন বন রক্ষি ও বন কর্মকর্তারা।
পশ্চিম বন বিভাগ সহ বাংলাদেশ অংশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা উল্লেখ করতে হলে আইলা থেকে শুরু করে সর্বশেষ হামুন পর্যন্ত একটি তথ্যে দেখা গেছে প্রায় সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ সতর্ক সংকেত উপকূল ছুঁয়ে গেছে।
কোন কোন সময় লোকালয়ে সুন্দরবন সহ বড় ধরনের আঘাত হয়েছে,সে সময়ও টিকে ছিলেন বন রক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকেন।তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলে কতটুকু আঘাত হানবে সেটুকু সুন্দরবনের উপরে আঘাত করবে কিনা সে বিষয়েটুকু সংকেতের মাধ্যমে জেনেও বনরক্ষীদের বনে থাকতে হয়।
শুধুমাত্র সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, বুলবুল সুন্দরবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,লক্ষ লক্ষ গাছ ধ্বংস হয়েছে বহু জাতী প্রাণী।
প্রকৃতি আপন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারলেও বনরক্ষীদের সব সময় সুরক্ষায় নিবেদিত হতে হয়েছে।
এ বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বন কর্মকর্তা বলেন
সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনের বড় একটি অংশ, এখানে জনবল প্রয়োজন ছাড়া অনেক কম, গভীর সুন্দরবনের টহলরত ফাঁড়ী হতে লকালয়ে আসতে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা সময় লাগে, চলাচলের যানবাহন খুবই সংকট, তিনি আরো বলেন আমারা সুন্দরবন সুরক্ষায় জীবন বাজীরেখে কাজ করে আসছি, আমাদের জীবনের ঝুঁকি ভাতা নেই।
সরকারের আরো সব বাহিনীর রয়েছে রেশন ভাতা, তবে বনবিভাগের নেই এধরনের সুবিধা তাই আমাদের দাবী জনবল বাড়াতে হবে, ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে এবং আমাদের চলাচলের জানবাহন বৃদ্ধি করলে সুন্দরবন সুরক্ষা আরো গতি শীল হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply