শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের বিড়ালাক্ষী সরদাবাড়ী গ্ৰামের মোঃ ইমদাদুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা খাতুন নামের এক ব্যক্তি নিজের ছাগল ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিবেশী মোঃ রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যাসায়ীকে বিরুদ্ধে দায় চাপানোর অভিযোগ উঠেছে।
১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ২:৩০ মিনিট ছাগল ঘরে আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটে বলে জানাযায়।
স্থানীয় গ্ৰামবাসী আরিফা খাতুন,মোশাররাফ হোসেন, কামরুল ইসলাম সহ কয়েকজন জানায় আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে রওশনার তার নিজের ছাগল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এসময় তার মেয়ে সুমাইয়া মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায় পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে এধরনের ঘটনা ঘটার কারন জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বলেন গত কয়েক দিন আগে রওশনারার ছেলের সাথে বাড়ির ঘাস কাটাকে কেন্দ্র বিরোধ সৃষ্টি হয় একয় এলাকার ইব্ররাহীম এসময় রবিউল নামের ঐ ব্যাবসায়ী মীমাংসার চেষ্টা করার পরেও ওদের সংঘর্ষ হয় এতে ভূল বুঝে রবিবার কে জুতার দিয়ে আঘাত করে রওশানারা পরবর্তীতে রবিউলের পাশের ব্যাবসায়ীরা ও তার স্বামী ইমদাদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে জুতা দিয়ে আঘাত করার অপরাধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়ায় সেখান থেকে এ ঘটনায় সূত্রপাত হয়।
পরে রওশানারা নিজে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করে পরে অভিযুক্ত ৭ জন কে পুলিশ হেফাজতে নিলে এই নারী আবার কোন অভিযোগ নেই বলে থানায় গিয়ে হেফাজতে থাকা ব্যাক্তিদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
বেশ কয়েক দিন পরে (১৫ অক্টোবর )আবার ৯ জন কে আসামি করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন, পরবর্তীতে আসামিরা আদালতে থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে আশে।
সেই ঘটনার জের ধরে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার জন্য নিজ ছাগল ঘরে আগুন দিয়ে মামলার প্রতিপক্ষকে ফাসানোর চেষ্টা করতেছে।
এ বিষয়টিকে ঘিরে নিরাপত্তা হীনতায় ভুকছেন ব্যাবসায়ী রবিউল ইসলাম গং।
তবে এ বিষয়ে গত কাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিনে রওশানারা খাতুনের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে রওশানারার মেয়ে সুমাইয়া ও ছেলে সাইদুলের কাছে কিভাবে ছাগল ঘরে আগুন লাগলো জানাতে চাইলে,মেয়ে সূমাইয়া বলেন, কে, বা কারা রাতের আঁধারে আগুন দিয়েছে সেটা দেখতে পায় নাই তবে আমাদের ধারণা আমাদের শত্র যারা আছে তারাই আমাদের ছাগল ঘরে আগুন দিয়েছে বলে মনে হয়।
ছাগল ঘরে আগুন লাগা বিষয়ে প্রতিবেশী সপ্না বেগম ও আরিফা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তাহারা বলেন হটাৎ মাঝরাতে চেচামেচির শব্দ পেয়ে উঠে দেখি। রওশননার মেয়ের সুমাইয়া ভিডিও করছে পরে আমরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশি।
ছাগল ঘরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা না করে ভিডিও ধারণ করার কারন জিজ্ঞেস করলে মেয়ে সুমাইয়া বলেন আমারদের ঘরে আগুন জ্বালিয়েছে এটা প্রমান রাখতে ভিডিও ধারণ করছিলাম, কারন আইনের চোখ অন্ধ প্রমান চায় তাই ভিডিও ধারণ করছি প্রমান রাখার জন্য।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানাতে চাইলে,তিনি বলেন এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নাই অভিযোগ পেলে অভিযোগে ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply