ফান্ড আওয়ার ফিউচার ( আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ করো) ও জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে বৈশ্বিক জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সম্মুখে এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও যুব সংগঠন, শরুব ইয়ুথ টিমের আয়েজনে সংহতি প্রকাশ করেন পিপিলিকা ইয়ুথ টিম,কেস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, রংতুলি ইয়ুথ টিম, আটুলিয়া ইয়ুথ টিম সহ বিভিন্ন যুব সংগঠনের দুইশতাধিক সদস্যদের অংশগ্রহণে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা একত্রিত হয়। পরে তাররুনরা দল মত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে, জলবায়ু সংকট নিরসন,ন্যায়বিচার, ও জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ বন্ধে সহ জলবায়ু সুবিচারের দাবি দাওয়া সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ব জলবায়ু কর্মসূচি সপ্তাহ উদযাপন কমিটির আহবায়ক এস এম জান্নাতুল নাঈম এর সভাপতিত্বে ও মমিনূর রহমান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, শ্যামনগর এলআরপি ৫৪ ম্যানেজার মোসলেম উদ্দীন লস্কর, শরুব ইয়ুথ টিমের সম্পাদক সোহেল রানা,পিপিলিকা ইয়ুথ টিমের সভাপতি হুমাইরা খাতুন, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের সভাপতি রাইসুল ইসলাম প্রমুখ।
শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈন বলেন উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তাদের নব্য ওপনিবেশিক শোষণ,যুদ্ধ, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবী কে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে বর্তমানে।
পরিবেশকর্মী রাইসুল ইসলাম বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ আজ বিপদাপন্ন। এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকা আরও অর্থবহ করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়নে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহকে ক্ষতিপূরণে বাধ্য করতে সোচ্চার হতে হবে।
পিপিলিকা ইয়ুথ টিমের সভাপতি হুমাইরা খাতুন বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গোটা বিশ্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের ভূমিকা সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।
Leave a Reply