নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক জুন জুলাই, আগস্ট মাসের প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে অবৈধভাবে মাছ ও কাঁকড়া ধরার অপরাধে গত ২ মাসে (জুন-জুলাই) ০৮ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ১৩০ টি নৌকা এবং অবৈধ কাঁকড়া পরিবহন কালে ০১ (এক) টি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে বনবিভাগ। এছাড়াও ১০১ জনকে আটক করে। উদ্ধার করে অবৈধ ভেসালী জাল, নিষিদ্ধ কীটনাশক, হরিণ ধরার ফাঁদ, শুটকি চিংড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
সরকারী নির্দেশনায় গত ১ জুন হতে ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে সকল ধরণের পাশ পারমিট বন্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। শুধু জেলে বাওয়ালী নয়, সেই সাথে পর্যটকদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। তারপরও কিছু অসাধু মানুষ গোপনে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করার অপচেষ্টা চালায়। এ সকল অপরাধ প্রতিহত করতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির সমন্বয়ে সুন্দরবনে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এসময় বন বিভাগের সদস্যরা অসংখ্য নৌকাসহ এর সাথে জড়িত জেলেদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক সাতক্ষীরা রেঞ্জের এসি এফ এম, কে, এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, গত ২ মাসে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ০৭ টি পিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ২২ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ৩১ টি ইউডিওআর মামলা এবং ১৬ টি সিওআর মামলা (যার আসামী সংখ্যা ৭৯ জন) দায়ের করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২৩,৩৬,০০০/- (তেইশ লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা) রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময় বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির সদস্যরা প্রতিনিয়ত টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে বন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেক কে আটক করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
Leave a Reply