কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জে নিষিদ্ধ সময় মাছ ও কাঁকড়া ধরার অপরাধে গত ২ মাসে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ৬২ টি নৌকা, অবৈধ মাছ ও কাঁকড়া পরিবহনকালে ৪ টি মোটর সাইকেল জব্দ করেছে। এ সময় ২৩ ব্যাক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অভিযানে অবৈধ ভেশাল জাল,নিষিদ্ধ ভারতীয় কীটনাশক, হরিণ ধরার ফাঁদ, শুটকি চিংড়ি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গত ১ জুন হতে ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনের সকল পাশ-পারমিট বন্ধ করেছে বন বিভাগ। শুধু জেলে বাওয়ালী নয় সেই সাথে পর্যটকের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। সুন্দরবনে পারমিট বন্ধ করাকালিন সময় এক ধরনের অসাধূ জেলেরা মাছ ও কাঁকড়া ধরে থাকে। এটিকে প্রতিহত করতে এ বছর খুলনা রেঞ্জের বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফঁাড়িতে ব্যাপকভাবে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় সুন্দরবনে বিভিন্ন এলাকায় টহল কার্যক্রম চালিয়ে বন বিভাগের সদস্যরা অসংখ্য নৌকা সহ অপরাধের সাথে জড়িত জেলেদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, সুন্দরবন বন্ধের সময় গত ২ মাসে খুলনা রেঞ্জে ২৭ টি পিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৪ টি ইউডিওআর মামলায় পলাতক আসামী রয়েছে ৪৬ জন। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময় বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফঁাড়ির সদস্যরা প্রতিনিয়ত টহল কার্যকম অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে বন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে অসংখ্য নৌকা সহ তাদের ব্যবহৃত অবৈধ জাল ও অন্যান্য জিনিষপত্র। সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় বন বিভাগের টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply