পূর্ণিমার জোয়ার ও নিম্নচাপের প্রভাবে সুন্দরবন অঞ্চলের খোলপেটুয়া নদীতে সাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে উপকূলের কিছু কিছু যায়গায় নদীর পাড় ভেঙে পড়েছে ।
বুধবার থেকে নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা রেঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিস ঘরের কানায় কানায় পানি।
বন বিভাগের জেটি টি তলিয়ে ছিল জোয়ারের পানিতে।
নীলডুমুর গ্রামের ৬০উর্ধ বয়েসী হানিফ গাজী বলেন নদীতে যে ভাবে জোয়ারের পানি বেড়েছে না জানি কোন সময় বেড়িবাঁধ আবার ভেঙে যায়।
৭০বছর বয়সী মনোয়ারা বলেন আমার বয়েসে এত বেশি পানি উঠতে দেখিনি গাংঙে এসময়, ভয় হয় কখন আবার নোনা পানিতে ডুবে যাই।
গত বুধবার রাতে গাবুরা ৯নং সোরা এলাকার বেড়িবাঁধের নিচ থেকে হটাৎ মাটি সরে গেছে ৫০মিটারের মত যায়গার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলতেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ -সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুল হক।
মুন্সীগঞ্জ স্লুইজ গেটের তল থেকে জোয়ারের পানির চাপে মাটি সরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইমার্জেন্সি কাজের বাজেট দিয়ে তাথক্ষনিক পানি ঠেকানো হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাছাড়াও
মুন্সীগঞ্জ দক্ষিণ কদমতলা ১২৫ মিটার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী দাতিনখালী ও নীলডূমুর১৭ বিজিবি ক্যাম এর সামনে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত এস ও জাকারিয়া ফেরদৌস এর কাছে নদী ভাঙন বিষয়ে জানতে চাইলে এস ও বলেন, নিম্নচাপের কারণে উপকূলের নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার দায়িত্বরত ইউনিয়ন মুন্সীগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনীর বেশকিছু বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইমার্জেন্সি কাজের বাজেট দিয়ে জিও বস্তা ও মাটির কাজ চলমান রেখেছি।
নদী ভাঙন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,
উপজেলার ঝুঁকি পূর্ণ বেড়িবাঁধে সর্বক্ষনিক নজর রাখতে উপজেলা প্রশাসন নিদর্শনা নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানিয় জন প্রতিনিধিদের। নিম্নচাপের ফলে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বেড়িবাঁধের বেশ কিছু যায়গাতে ফাঁটল নিয়েছে খবর পেয়েছি।
উপকূলের যে কোন স্থানে বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর পেলে সাথে সাথে সরকারি ভাবে সংস্কার করার জন্য সরকারি সহায়তা মুজুদ রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন উপজেলা প্রশাসন সব সময় উপজেলার উপকূল বর্তি বেড়িবাঁধের খোঁজ খবর রাখছেন কুথাও কোন প্রকার বাঁধ ভাঙার খবর পেলে তাথক্ষনিক মেরামতের ব্যাবস্থা করা হবে।
Leave a Reply