সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে
সমুদ্র ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে ৩ মাস মাছ কাঁকড়া আহরণ করা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে জেলেরা।
২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সুমুদ্রে আর প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন রাখতে ২য় দফায় ১ জুন থেকে ৩১আগস্ট নদনদী সহ, মোট তিন মাস বন্ধ সুন্দরবন।
দেশের সকল নদনদী ও সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ধরা এবং পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পুর্নভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ও মৎসঅধিদপ্তর । ফলে বিপাকে পড়েছে জেলে বাওয়ালী, মৌয়ালী সহ পর্যটন বাহী নৌ শ্রমিক।
উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৭০℅ মানুষ দারিদ্র সিমার মধ্যে বসবাস করে, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে থাকে তবে এ অঞ্চলের মানুষের পেশা সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ কাঁকড়া আহারণ করা।
সরকারীভাবে সুমুদ্রগামী ও সুন্দরবন সংলগ্ন মৎস্য আহরণকারী জেলেরা সরকারী সহায়তা হিসেবে দুইবারে মোট ৮৬ কেজি করে চাউল পাওয়ার কথা সে অনুযায়ী উপকূলীয় জেলার ইউনিয়ন গুলোতে প্রথম পর্যায়ে ৫৬ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় জেলেকার্ডধারীর সংখ্যা মোট ৮৩২৪ জন,বারোটা ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত মোট চাউলের পরিমাণ ৪৬৬.১৪৪(মেঃটন)
বুড়িগোয়ালানী এলাকার জেলে রুহুল আমিন অভিযোগ করেন আমার জেলেকার্ডে ফ্লুইড মেরে মেম্বার নিজের লোকের চাল দেছে।
উপজেলার তথ্য অনুযায়ী বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে জেলেকার্ড ধারী ৩,৩৩৩ জন,তবে ১৫০ টাকার ট্রাক্স রশিদের মাধ্যমে চাল পেয়েছে ১,১৯৩জন।
গাবুরা ইউনিয়নে মোট জেলেকার্ডধারী ৫,২৫০ জন ১শ” টাকার ট্রাক্স রশিদের মাধ্যমে চাল পেয়েছে ৫৪ কেজি করে ১৬০০ জন।
তবে,বেশ কিছু জেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ করেছে প্রকৃত সমুদ্রগামী জেলে বাউলিয়ারা বরাদ্দকৃত চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
আটুলিয়া ইয়নিয়নে মোট জেলে ২০৯৩ জন বিনা ট্রাক্সে ৫৬কজি করে চাউল বরদ্ধ অনুযায়ী ৭৪৫জনে মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। রমজাননগর ইউনিয়নে জেলে ২২০০ জন বরদ্ধ কৃত চাল পেয়েছেন ৭৩৫ জন বিনা ট্রাক্সে।
মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে মোট জেলেকার্ড ৩ হাজারের অধিক তবে ২ শ” টাকার ট্রাক্স রশিদের মাধ্যমে বরদ্ধ কৃত চাল পেয়েছেন ১১৯৩ জন জেলে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত (৮ জুন ২৩ )তারিখে লিখত অভিযোগ করেছেন শ্যামনগর উপজেলা শাখার মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জি এম মুনসুর আলম তিনি অভিযোগে উল্লেখ্য করেন মৎস্যজীবীদের মাঝে চাউল বিতরণ না করে তাহার খেয়াল খুশিমতো ব্যক্তিদের মাঝে,বালতি মাপে ২৪ থেকে ২৭ কেজি এ চাউল বিতরণ করেন।
Leave a Reply