সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি”র অফিস উদ্বোধন রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে
সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে বাপা’র মানববন্ধন

সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে বাপা’র মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকা প্লাস্টিকে সয়লাব। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে সুন্দরবন এলাকার তিনটি প্রধান নদীর ২০ প্রজাতির মাছ মাইক্রো প্লাস্টিকে সংক্রমিত। এসব মাছ খেলে পাচনতন্ত্র ধীরে ধীরে কাজ বন্ধ করে দিবে। লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারনও হতে পারে। তাই সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করার এখনই সময়।

রবিবার (৪ জুন) সকালে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলার আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, শেখ রাসেল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার আব্দুর রশিদ হাওলাদার, চন্দ্রিকা মন্ডল প্রমূখ।

“Solutions to Plastic Pollution (প্লাস্টিক দূষণের সমাধান)” শ্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন কেবলমাত্র সুন্দরবনে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন নিষিদ্ধ করলে হবেনা। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী এবং সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় এখনই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ এবং শিল্প দূষণে সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বক্তারা বলেন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পন্য উৎপাদনের মাধ্যমে মুনাফা করা কোন সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ হতে পারেনা। এটির উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। গ্রীণ হাউস গ্যাসের একটি কারন হলো প্লাস্টিক। প্লাস্টিক তৈরিতে প্রায় ৩৮ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এরমধ্যে ১২ থেকে ১৮ ধরনের কেমিক্যাল অত্যন্ত ক্ষতিকর। পলিথিনও একবার ব্যবহার্য পণ্যের মধ্যে পড়ে। এটা কোন ভাবে রিসাইকেল হয়না এবং বর্জ্য উৎপন্ন করে। এটি ভেঙ্গে যায় ও কণায় পরিণত হয়। পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিবেশ থেকে বিলীন হয়না। এক সময়ে আমাদের খাদ্যের সঙ্গে মিশে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প বস্তু ব্যবহারের কথা আমদের ভাবতে হবে। এখনই সুন্দরবন ও উপকূল এলাকায় একবারে ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করা হোক। ধীরে ধীরে সমগ্র দেশেও একবারে ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড