কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য কয়রা উপজেলার কার্ডধারী জেলেদের মাঝে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ।এতে বেজায় খুশি জেলেরা।
আজ শনিবার(২৭ মে) উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত জেলেদর মাঝে চাউল বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আমিনুল হক,ট্যাগ অফিসার ইস্তিয়াক আহমেদ,মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০ মে থেকে শুরু হওয়া সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ৬৫ দিনের মৎস্য আহরণ বন্ধ, চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।আর এ নিষেধাজ্ঞা চলার সময় নিবন্ধিত প্রতি জেলের জন্য প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করবে সরকার। উপজেলায় এ বছর নিবন্ধিত ১৩ হাজার ২৬৪ জেলের জন্য ১ হাজার ১২৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
চাউল নিতে আসা মহারাজপুর গ্রামের জেলে বজলুর রহমান বলেন,৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজনের নিয়ে খুব চিন্তায় চিলাম।সরকার আমাদেরকে দুই দফায় ৮৬ কেজি চাউল দেবে এই খবর শুনে সে চিন্তা কিছুটা হলেও দুর হয়েছে।আজ ৫৬ কেজি চাউল পেয়েছি পরে আরও ৩০ কেজি চাউল দেওয়া হবে শুনলাম।
মঠবাড়ী গ্রামের জেলে মাছুম বিল্লাহ বলেন,নিষেধাজ্ঞার প্রথম সপ্তাহে চাল পেয়েছি।বিতরণে এ ধারাবাহিকতা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে, এমনটাই আমরা দাবি করছি। নিষেধাজ্ঞার সাথেসাথে চাল পেলে আমাদের সংসার পরিচালনা করতে ভীষণ সুবিধা হয়। অন্যথায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হয়।
এ বষিয়ে কয়রা উপজলো সনিযি়র মৎস্য র্কমর্কতা মো: আমিনুল হক বলনে, জেলেদের বিষয়ে সরকার সবসময় মানবিক আচারণ করছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই জেলেদের জন্য চাউল বরাদ্দ দেয়।কয়রার জেলেদের জন্য এবছর ১ হাজার ১২৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পেয়ছি।মহারাজপুর ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণের মধ্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বাকী ইউনিয়নগুলোতে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।
Leave a Reply