মাসুদ পারভেজ, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
ঊষাতায় সবাই শিতল তরমুজ পচ্ছন্দ করে না এমন কেউ নেই, আর পবিত্র মাহে রমজান মাসে তো কোন কথাই নেই ইফতারের সময় তরমুজ প্রায় প্রত্যেকটা রোজাদারের পছন্দের খাবার। এটাকে পুঁজি করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রতা সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেটে বাড়াচ্ছে মূল্য। পবিত্র রমজান মাস সবাই তরমুজ খেতে চায় ইফতারিতে কিন্তু ক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে এমন নজর চোখে পড়ে প্রতিদিন।
সোমবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা হাটখোলা একটি বৃহত্তর বাজারে সরেজমিন তদন্ত করে উঠে আসল ভয়াবহ চিত্র। খুচরা বিক্রেতা আর পাইকারি বিক্রেতার মধ্যে যেন লাভের প্রতিযোগিতা লিপ্ত। বলির পাঠার মতো সাধারণ ক্রেতা মেনে নিচ্ছে সবকিছু। যদি কিছু জানতে চায় বা শুনতে চায় তখনি বিক্রেতার ধমকানি খাচ্ছে ‘যান যান আমি আপনার কাছে তরমুজ বেচবো না। আমি বেশি দামে কিনেছি তাই ২ টাকা লাভ রেখে বিক্রয় করতিছি। শুধু নলতা নয় দেশের সব বাজারে চলছে মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল তরমুজের রমরমা লোক ঠকানো ব্যবসা। মাঠপর্যারে কৃষকের কাছে এক রকম মূল্য, আড়ৎদারের কাছে আর একরকম, আবার খুজরা বিক্রেতার কাছে আকাশ ছোঁয়া মূল্য। গতকাল নলতা বাজারে ৬০ হাত পথের ব্যবধানে বড় তরমুজের কেজি প্রতি ব্যবধান ২০ টাকা বেশি দেখা জায় এমন দৃশ্য। খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, নলতা বাজারের আব্দুল্লাহ কাঁচামালের আড়তের মালিক জানান মো. আব্দুল্লাহ জানান তার আড়তে পাইকারি তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে বড় সাইজের তরমুজরগুলো প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে, মাঝারি তরমুজ কেজি প্রতি ১০ টাকা আর ছোট সাইজেরগুলো বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ৭ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। কিন্তু নলতায় পাইকারি আড়ৎ থেকে খুচরা বাজারের পথের ব্যবধান ৬০ হাতের মধ্যে, সেখানে যেয়ে দেখা যায় অন্যরকম অবস্থা। সেখানে খুচরা তরমুজ বিক্রেতাদের কাছে অন্যরমক মূল্য, খুচরা বিক্রেতা জব্বার আলী জানান, তার কাছে বড় সাইজের তরমুজরগুলো বিক্রয় হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে, মাঝারি তরমুজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা আর ছোট সাইজেরগুলো বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫ টাকা দরে। তাহলে বুঝলাম প্রতি কেজিতে সর্বচ্চ ২০ টাকা ব্যবধান। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, যে আড়তদার তার তরমুজ ক্ষেত মালিক বা কৃষকের কাছে থেকে কেজিতে নয় পার পিচ আকারে ক্রয় করে বিক্রয় করছে কেজিতে এর ফলে প্রতিটি বড় তরমুজ ওজন ৪-৫ কেজি দাম ৫০-৬০ টাকায় কিনে বিক্রয় করে ১৭৫ টাকা লাভ ১১৫ টাকা। আবস্থা দেখে মনে হচ্ছে হরি লুটের বাতাশা যে যা পারছে দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। কোথা থেকে এই তরমুজ কিনে আনা হয় এমন প্রশ্নের উত্তর প্রথমে বরিশাল বললে আমতা আমতা করতে করতে সাতক্ষীরা বড় বাজার বললেও আসলে আসছে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, রূপদীয়া, সাতক্ষীরার কলারোয়া, ঝাওডাঙ্গা থেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন বাজার মনিটারিংয়ে আসে তখন তারা কমদাম বলে এমন উত্তর দিলে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পথচারী।
বিষয়টি শুধু তরমুজে নয় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাজারে বা ফুটপথে হকারদের নিজিস্ব সিন্ডিকেটে মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চায় যেখানে চাল-ডাল কিনতে নাভিশ্বাস সেখানে শখের মৌসুমি ফল কেনা দুস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
Leave a Reply