সংবাদ শিরোনামঃ
ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মনসা ও বিশ্বকর্মা পূজা কালিগঞ্জে রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে ঈদ ই মিলাদুন্নবী উদযাপন
জাতীয় কৃর্মি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২২ জানুয়ারি শুরু

জাতীয় কৃর্মি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২২ জানুয়ারি শুরু

ডেস্ক রিপোর্টঃ

আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হচ্ছে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। প্রথম ধাপে ৪৪টি জেলায় পালিত হবে এই কর্মসূচি। এই ধাপে ২ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ের ৪৪টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুকে ১ ডোজ কৃমি নাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল বা ভারমক্স ৫০০ মিঃগ্রাঃ) ভরা পেটে সেবন করানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী স্কুলগামী, স্কুল বহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবী শিশুকে এই ওষুধ বিনামূল্যে সেবন করানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কৃমির পূর্ণসংক্রমণ রোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে সচেতন করে তোলা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়ার ওপও গুরুত্ব দিতে হবে। এর ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হবে, যা থেকে ভবিষ্যতে শিশুরা কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবী বাহিত রোগব্যাধি থেকেও পরিত্রাণ পাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্যমতে, কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের মধেই সবচেয়ে বেশি। এদের মাঝে ০ থেকে ৪ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ৩২ শতাংশ, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ১৫ শতাংশ, ২৫ থেকে ৪৪ বছর ৭ শতাংশ, ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের ৫ শতাংশ, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী মানুষের মধ্যে ৪ শতাংশ কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।
দেশে শিশুদের মল পরীক্ষায় ২০১৫ সালে কৃমির উপস্থিতি ছিল ৮০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশতে নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রথমত ৩ জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পর্যায়ক্রমে জুন ২০০৭ পর্যন্ত ১৬ জেলায়, মে ২০০৮ পর্যন্ত ২৪ জেলায় ও নভেম্বর ২০০৮ থেকে ৬৪টি জেলায় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমটি সম্প্রসারিত করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড