সংবাদ শিরোনামঃ
গাঁজাসহ শ্যামনগরে শ্বাশুড়ি-বৌমা আটক নলতায় ৪ দফা দাবিতে ছাত্র -ছাত্রীদের আন্দোলন ও ক্যাম্পাসের নাম বদল কালিগঞ্জে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে জামায়াতের ৯টি ইউনিয়নের জামায়াতের আমীরগনের শপথ অনুষ্ঠিত  সামাজিক ও মানবিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সেচ্ছাসেবীদের সংবর্ধনা প্রদান  কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১জন গ্রেফতার কালিগঞ্জে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিজয় র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে কালিগঞ্জে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালী অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনে শ্যামনগরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
যশোর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সাড়ে ১৪ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মামলা

যশোর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সাড়ে ১৪ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মামলা

ডেস্ক রিপোর্টঃ

যশোর শহরের এইচএমএম রোডের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রবিবার কালী মন্দিরের সভাপতি সুজিত কাপুড়িয়া বাবুল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ ও কোষাধ্যক্ষ পলাশ মোদক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শহরের এইচএম এম রোডের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির পরিচালনা পরিষদ দ্বারা গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়। সদস্যদের চাঁদা, দোকান ভাড়া, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানে মন্দিরের পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এছাড়া আদায়কৃত টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়। হিসাবটি সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পরিচালনা করেন। সভাপতি বিভিন্ন সময় দেশ ও জেলার বাইরে অবস্থান করেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা করে উন্নয়ন কাজ করার কথা থাকলেও আসামিরা তা করেননি। ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আসামিরা ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন ও মন্দিরের ভাড়াটিয়া বিধান রায়ের কাছ থেকে অনুদানের ১ লাখ এবং সাবমারসিবল পাম্প বিক্রি করে ১২ হাজার টাকাসহ মোট ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই সময় তাদের কাছে এ টাকা ব্যয়ের হিসাব চাইলে তারা মনগড়া বিল-ভাউচার তৈরি করে জমা দেন। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৯ মার্চ সভা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আসমিরা ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ২০২২ সালের ১২ জুন পরিচালনা পরিষদের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ৩০ আগস্ট সভা আহবান করে আসামিদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা এ নোটিশের জবাব না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিরা এ সংবাদ পেয়ে মন্দিরে এসে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তারা টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। গত ৩০ ডিসেম্বর আসামিদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আত্মসাৎকৃত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড