মোঃ আল আমিন রানা
বেদকাশী(কয়রা) প্রতিনিধি
গাজী আব্দুর জব্বার হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভবনটি শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকি পুর্ণ, দূর থেকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই ভিতরে গেলে দেখা যায় ছাদে ও দেয়ালের প্লাস্টারগুলো খসে পড়ছে। এ ভবনটিতে ৬টি কক্ষই মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জেনেও ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ চিত্রগুলো স্থানীয় জনপদ খুলনা জেলার কয়রা থানার গাজী আব্দুর জব্বার হাই স্কুল এন্ড কলেজের। এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সব কয়টি শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। কপোতক্ষ নদীর তীরে গোবিন্দপুর এলাকায় ১৯৭২ সালে ১.৮৭ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।
জানা গেছে ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয় এরপর ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলাভবন নির্মাণ করা হয়। ২০০২ সালে বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৫ ও শিক্ষক রয়েছেন মোট ১৮ জন।
অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিএম রবিউল ইসলাম বলেন বিদ্যালয়ের এই ভবনে ছয়টি কক্ষে ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস নেয়া হয়। দ্বিতীয় তলায় প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষকরা অফিসিয়াল কাজ করে থাকে। তবে পুরো ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এসব সময় আতঙ্কের মধ্য দিয়ে প্রতিটা দিন অতিবাহিত করতে হয়।
অভিভাবক সদস্য দ্বীন মোহাম্মদ বলেন ২০১৫ সাল থেকে ভবন বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। ছয়টি কক্ষের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালের প্লাস্টার গুলো খসে পড়তেছে নিচ তলায় ইতিমধ্যে দুইটি কক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে থাকে তবে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে দিতে চায় না। পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্কুলের মাঠে ক্লাস পাঠদান করানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ হলেও সেটির কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি। তবে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এতে দিন দিন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সসীম বাহাদুর জানান একবার ক্লাস চলাকালে সাদ থেকে প্লাস্টার পড়ে সুইটি নামের এক ছাত্রীর মাথার উপর পড়ে গুরুতর আহত হয়। অনেক শিক্ষার্থীরা সেই ভয় থেকে ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে ফলে তারা ক্লাসের ঠিকমতো মনোযোগী হতে পারে না।অতএব দ্রুত এ ব্যাপারে একটা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ভবনটি পরিতাক্ত ঘোষণা করে বিকল্প পাঠদানের পাশাপাশি অবিলম্বে যে ভবনটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে তার কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান তিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার সুপারভাইজার মহসিন আলী জানান বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও পরিদর্শন করা হয়েছে বরাদ্দাকৃত ভবনের কাজ শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
Leave a Reply