গাবুরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ।
মোঃ মিজানুর রহমান, গাবুরা (শ্যামনগর )প্রতিনিধি
গাবুরার ১২২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি এস, এম আতাউল হক দোলন স্কুল সংলগ্ন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ। তাদের অভিযোগ গত কয়েক বছর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার ফরহাদ হোসেন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন। শুরু থেকেই এপর্যন্ত তিনি বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করে আসছেন। স্কুলে প্রতি বছর সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও আমাদের স্কুলে তেমন কোন কাজ চোখে পড়েনা। হিসাব চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক মামলার ভয় দেখান। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি মাত্র সহকারী শিক্ষক বুদ্ধদেব জোয়ার্দার কে স্কুলে উপস্থিত দেখেন। উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, প্রধান শিক্ষক উপজেলায় অংক প্রশিক্ষণে আছে। সহকারী শিক্ষিকা মীরা রাণী বালা সাতক্ষীরা পিটিআই প্রশিক্ষণে আছে। প্রধান শিক্ষককে অফিসিয়াল কাজে প্রায়ই উপজেলায় থাকতে হয়। আমার একার পক্ষে এতগুলো শিক্ষার্থীর পাঠদান সম্পুর্ণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, দীর্ঘ কয়েক ধরে স্কুলের কোন পরিচালনা পর্ষদ কমিটি নেই। নিয়ম অনুযায়ী তফসিল দিয়ে নির্বাচনের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক নিজেই বারবার নির্বাচন ব্যবস্থা কে ব্যহত করছে। প্রধান শিক্ষক কারো মূল্যয়ন করেনা। তিনি শ্যামনগর উপজেলা শহরে বসবাস করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার অনেক ভালো সম্পর্ক আছে, তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বলে বেড়ান।
স্কুল পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই খারাপ। বঙ্গবন্ধুর একটি অফিসিয়াল ছবি পর্যন্ত স্কুলে নেই। স্কুলে একটি পরিদর্শন বুক নেই, আমি একটি সাদা কাগজে পরিদর্শন রিপোর্ট লিখেছি। প্রধান শিক্ষক ঠিক মতো স্কুলে আসে না। উপজেলা চেয়ারম্যান আরো বলেন আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে জরুরি মিটিং ডাকতে বলেছি এই স্কুলের পরিত্যাক্ত ভবন অপসারণ, শিক্ষক স্বল্পতা সহ প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব প্রভাষক সাঈদ -উজ- জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আয়ুব ডলি, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি, এম, মাছুদুল আলম মাছুদ, সাংবাদিকবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply