শ্যামনগর উপকূলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী ভাঙ্গন কবলীত এলাকায় ভূমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্ঠি হচ্ছে।
শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী দাতিনাখালী এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানিরক্ষা বেড়িবাঁধ টি আম্ফানের আঘাতে ভেঙ্গে যেয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয় ।
আম্ফানের আঘাতে দাতিনাখালী গ্রামের আতিয়ার মোড়লের বাড়ী সংলগ্ন মালঞ্চ নদীতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বেড়িবাঁধ সহ বেশ কিছু জমি নদী ভাঙ্গনে ভেঙে যায়।
নদী ভাঙ্গনে মোড়লবাড়ীর বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ায় দাতিনাখালী গ্রামের অজিয়ার মোড়লের বতর্মান মাথা গজার ঠাঁই নাই।
নদী ভাঙ্গন বিষয় অজিয়ার মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছর আমার বাড়ীর সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া মালঞ্চ নদীর পাড়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়।
আমার সহ আমার ভাইদের জমিজমা ঐ রাক্ষশী মালঞ্চ নদী গিলে খেয়েছে।
আম্ফান ঝড়ে আমার বাড়ির সামনের বেড়িবাঁধ ভেঙে যেয়ে আমার ঘর সহ আসবাবপত্র ভাসায়ে নিয়ে যায়। বতর্মান আমি সহ আমার ছেলেদের বসবাস করার জন্য একটি ঘর করেছি।
তবে আমার পরিবারের সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে, ছেলে মেয়েদের আলাদা করে ঘর তৈরি করে দিতে না পারায়।
দাতিনাখালী গ্রামের আবুল হোসেনের নিকট নদী ভাঙ্গনে ভেঙে গেছে তার ঘর বাড়ি এমন কথা জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমি সর্ব শান্ত হয়ে গিয়েছি। আমফান ঝড়ে বেড়িবাঁধ ভাঙার পর আমার বাড়ির উপর দিয়ে পরবর্তী বেড়িবাঁধ হওয়ায় আমার ঘর বাঁধার মত যায়গা নাই।
নদী ভাঙ্গনে আমার প্রায় ৫বিঘা জমি ভেঙে নিয়ে গেছে আমি সহ আমার ছেলে এক ঘরে বসৎ করি, আমার আর কোন যায়গা না থাকায় আর একটি ঘর বানতে না পারায় আমার পরিবারের মধ্যে সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে।
এবিষয় স্থানীয় সাবেক ইউ,পি সদস্য কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে মেম্বার বলেন আমি বিগত ১৫ বছর ধরে দেখে আসছি দাতিনাখালী আতিয়ার মোড়লের বাড়ি সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর পাড়ের ভাঙ্গনে ভেঙ্গে যাচ্ছে মোড়লদের বাড়ি ঘর।
এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,
জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নদী সংলগ্ন পাউবো বেড়িবাঁধে প্রায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় ঐ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় বিরোধ এর সংবাদ প্রায় শোনা যায়।তবে এবিষয় নিয়ে কোন সালিশ আসেনি ইউনিয়ন পরিষদে।
দাতিনা খালী আতিয়ার মোড়লের বাড়ী সংলগ্ন নদী ভাঙ্গন বন্ধ কিভাবে করা যেতে পারে এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের র্কমকর্তা মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদী ভাঙন রোধ করতে হলে নদীর তীর গড়তে হবে, বালি ভর্তি জিউও বস্তা ও বোলাক ডামপিং করতে হবে, তাছাড়া
ভাঙ্গনের অপার পারে নদী খনন করলে এ ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।
তাছাড়া তিনি আরো বলেন সরকারি নিতিমালা করা আছে যাদের রেকর্ড কৃত জমি নদী ভাঙ্গনে ভেঙ্গে যেয়ে অপার পারে চর গড়ে উঠে ঐ চরের জমির মালিক সেই হবে যার নামিয় রেকর্ড করা জমি ভেঙ্গে যেয়ে চর উঠেছে।
আম্ফান ঝড়ে দাতিনাখালী এলাকার নদীর পানি রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যেয়ে অজিয়ার মোড়ল, আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর মোড়ল, জিল্লুর রহমান সহ ২০/২৫টি ঘর বাড়ি নদীর পানিতে ভেঁসে যায়। আজু পযর্ন্ত অজিয়ার মোড়ল, জিল্লুর, জাহাঙ্গীর এদের ঘর বাঁধার জায়গা না থাকায় এক ঘের বাপ ছেলে বাস করতেছে বলে জানান আবুল হোসেন।
Leave a Reply