সংবাদ শিরোনামঃ
শ্যামনগর নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে চকবারা খালে  গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাবুরা চকবারা খালে  কালিগঞ্জের নলতায় কৃষকদলের উদ্যোগে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে মৎস্যঘেরে ডাকাতির চেষ্টাকালে আটক ৪জন নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ এবং জাতীর কল্যাণে কাজ করতে হবে–মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. আব্দুর রশীদ কয়রা ছোট চাঁদখালী খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা  শ্যামনগর আকাশলীনা ইকোট্যূরিজম এলাকায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ
হরিণ শিকার রোধে বন বিভাগের অভিনব উদ্যোগ,ফাঁদ জমা দিলে পাবেন পুরষ্কার

হরিণ শিকার রোধে বন বিভাগের অভিনব উদ্যোগ,ফাঁদ জমা দিলে পাবেন পুরষ্কার

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরার মতো অপরাধ দমনে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের পক্ষ থেকে অভিনব একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে নতুন আশার আলো দেখছেন পরিবেশবিদ ও স্থানীয়রা।

বন বিভাগ সুত্রে যানা গেছে সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে পশ্চিম বন বিভাগে হরিণ ধরার জালের ফাঁদ উদ্ধারে অভিনব ঘোষনা দিয়েছে।কেউ সুন্দরবন থেকে নাইলনের জালের ফাঁদ,ও হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করে জমা দিলে প্রতি কেজি ফাঁদের বিনিময়ে জমাদানকারী ব্যক্তিকে সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ১হাজার টাকা পুরষ্কার করা হবে।

তবে ২০২০ বিধিমালায় বন বিভাগ অপরাধ উদঘটনে তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তকে পুরষ্কারের ঘোষনা করে সেখানে বাঘ হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তি তথ্যদাতার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বনের ভেতরে ধরা পড়লে ৫০ হাজার টাকা ও বনাঞ্চলের বাহিরে ধরা পড়লে ২৫ হজার টাকা,হরিণ শিকারী বনাঞ্চলের ভেতরে ২০ হাজার ও বনাঞ্চলের বাহিরে ১০ হাজার,কচ্ছপ,সাপ, বনাঞ্চলের ভেতরে ১৫ হাজার, বাহিরে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার পাবে।

সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা ছন্মবেশে মাছ-কাঁকড়া শিকারের আড়ালে হরিণ ধরার ফাঁদ পেতে সুন্দরবনে নির্বকারে হরিণ শিকার করছে। তবে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে প্রকৃতির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বন্যপ্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সুন্দরবনে হরিণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের শিকার করায় পরিবেশের জৈবিক চক্র বিঘ্নিত হচ্ছে।
সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত বনাঅঞ্চলের হরিণ শিকার করা সেখানকার জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ক্ষতি।

কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম সাহিদ বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বেড়ে যাওয়ায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, খুলনা নির্দেশ ক্রমে এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা,খুলনা স্যারদের নেতৃত্বে ফাঁদ উদ্ধারের অভিযান চলছে এবং সুন্দরবন সংলগ্ন যে সব স্থানে হরিণ শিকারের প্রবণতা বেশি সেসব স্থান চিহ্নিত করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সুন্দরবনে অপরাধ দমনে ভবিষ্যতেও এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও বন ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিয়মিত গণসচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেক গুলো উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। তার মধ্যে একটি হলো তথ্য দাতাকে উৎসাহিত করার জন্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় পুরস্কার প্রদান। তিনি আরও বলেন, জেলে,বাওয়ালী,মৌয়াল,বনে ফাঁদ দেখলে সবাইকে ফাঁদ উদ্ধার করে জমা দেওয়ার কথা যানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় প্রতি কেজি ফাঁদ জমা দিলে ১হাজার টাকা করে পুরষ্কার করা হবে। তবে কেউ বনে ফাঁদ দেখলে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ফাঁদ উদ্ধার করতে হবে বলে যানান এ কর্মকর্তা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি। 
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন এর নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের নদীর প্রবল স্রোতের কারণে পাড় ভেঙে বসতবাড়ি, দোকানপাট  নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (১৩জুন) বিকালে সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে বেশ কিছু অংশ জুড়ে ভেঙতে শুরু করেছে।
স্থানীয় দোকানে ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছর আগে নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাটের, ঘাট টিসহ কয়েকটি দোকান নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়।
এর পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বোলাক দেওয়ার পর ভাঙন রোধ হয়।
তবে গত কয়েক দিন ধরে বেশ কিছু অংশ নিয়ে আবারও ভাঙন সৃষ্টি হয়ে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে।
বাজারের একাংশ নদীর কিনার ঘেঁষে অবস্থিত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্ক। আশপাশের কয়েকটি ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো,নৌ থানা, স্কুল, কলেজ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ান সহ শত শত মৎস্য ঘের
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
 স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, “প্রতিবছরই কিছু না কিছু ভাঙে, কিন্তু এবার যেভাবে নদী খেয়ে নিচ্ছে, তাতে আমরা খুব ভয় পাচ্ছি। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বাজারটাই হারিয়ে যাবে।
ভাঙ্গন বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী  প্রকৌশলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ওই স্থানে মাফ জরিপ করেছি, এবং ভাঙ্গন স্থানে বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা ও খোলপাটুয়া নদীরতীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকাবাসী জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

শ্যামনগর নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি। 
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা খালে বৃহস্পতিবার  (১২ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টায়, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকবারা গাজী বাড়ির আয়োজনে চকবারা খালে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৩-টা বাইচ দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৬থেকে ১৮ জন পর্যন্ত।
প্রতিযোগিতায় মাসুম বিল্লাহ মাঝির দল প্রথম স্থান অধিকার করে , এবং রানার্সআপ হয়েছেন জিয়াউর রহমান মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ২৪” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল “
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কাশেম, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলন, আব্দুল মান্নান গাজী, মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, মন্টু গাজী। আব্দুলাহ আল-মামুন ও মাসুদ রানা”র  সার্বিক সহযোগিতায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্বোধনের মধ্যো দিয়ে নৌকা বাইচ টি শুরু হয় বলে জানান আয়োজক কমিটি আব্দুলাহ আল-মামুন।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে বলে আমরা মনে করি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে চকবারা খালে 

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া খালে সোমবার (৯ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডুমুরিয়া যুব সংঘের আয়োজনে
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৪-টি দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৪থেকে ১৫ জন পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিলাল কয়ালের দল, এবং রানার্সআপ হয়েছেন গফুর মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ৩২” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ২৪” এলিডি মনিটর।
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায়
ইউসুফ আলী মল্লিক এর সভাপতিত্বে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম, ইউপি সদস্য জিএম আবিয়ার রহমান, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে।
শ্যামনগরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
এম এ হালিম উপকূলীয় অঞ্চল(শ্যামনগর) প্রতিনিধি।
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা খালে বৃহস্পতিবার  (১২ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টায়, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকবারা গাজী বাড়ির আয়োজনে চকবারা খালে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৩-টা বাইচ দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৬থেকে ১৮ জন পর্যন্ত।
প্রতিযোগিতায় মাসুম বিল্লাহ মাঝির দল প্রথম স্থান অধিকার করে , এবং রানার্সআপ হয়েছেন জিয়াউর রহমান মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ২৪” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল “
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কাশেম, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলন, আব্দুল মান্নান গাজী, মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, মন্টু গাজী। আব্দুলাহ আল-মামুন ও মাসুদ রানা”র  সার্বিক সহযোগিতায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্বোধনের মধ্যো দিয়ে নৌকা বাইচ টি শুরু হয় বলে জানান আয়োজক কমিটি আব্দুলাহ আল-মামুন।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে বলে আমরা মনে করি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাবুরা চকবারা খালে 

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

ঈদ-উল আজহা উদযাপন উপলক্ষে নলতা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে নলতা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম ওসমান এর সভাপতিত্বে ও সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোকলেছুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ৩ আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যশী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আইয়ুব হোসেন (মুকুল)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ রোকুনুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন কৃষকদলের সিনিঃ যুগ্ন আহ্বায়ক মাষ্টার শাহীনুর রহমান, সদস্য সচিব মোঃ হাবিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদ,কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাস এর যুগ্ম আহ্বায়ক তাসকিন আহমেদ, নলতা ইউনিয়ন জাসাস এর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আহাদ আলী প্রমুখ।

কালিগঞ্জের নলতায় কৃষকদলের উদ্যোগে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মৎস্যঘেরে ডাকাতির চেষ্টাকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ জনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে রায়হান গাজী (৩০), পানঘাট গ্রামের শান্তি সরদারের ছেলে প্রশান্ত সরদার (৪২), কোমরপুর গ্রামের শাহাদাত শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩১) ও আশাশুনি উপজেলার কাঁকড়াবন গ্রামের মোস্তফা আকুঞ্জীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬)। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে বন্দকাটি এলাকায় গোঁয়ালঘেসিয়া নদী সংলগ্ন মিজানুর খন্দকারের মৎস্যঘেরে দুর্বৃত্তরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় এলাকাবাসী সংঘবদ্ধভাবে ৪ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম ও লাইলী পারভীন ঘটনাস্থলে যেয়ে আটক ৪ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আটককৃতদের থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

কালিগঞ্জে মৎস্যঘেরে ডাকাতির চেষ্টাকালে আটক ৪জন

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ এর আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. আব্দুর রশীদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ এবং জাতীর কল্যাণে কাজ করতে হবে। দেশকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মধ্যদিয়ে এগিয়ে নিতে হবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। বিগত ১৬টি বছর লাগামহীন দুর্নীতির কারণে দেশ পিছিয়ে গেছে, সেখান থেকে সততা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে বর্তমান সরকার কাজ করছে। কালিগঞ্জ উপজেলা আমার নিজের উপজেলা ঘোষনা দিয়ে প্রধান অতিথি আরও বলেন এখানকার সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহন করতে পারাটা সৌভাগ্যের। সব প্রস্তাবনা আমলে না নিলেও অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্থাপনার উন্নয়নের জন্যে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত কুমার বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফতেমাতুজ যোহরা, লেঃ কর্ণেল কাদির, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান (হাফিজ)। বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাসক খায়রুজ্জামান রঞ্জু ও ছাত্র সমন্বয়ক আমির হামজা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও ছাত্র সমন্বয়কবৃন্দ। এর আগে তিনি উপজেলা ক্যাম্পাসে একটি বকুল গাছের রোপন করেণ।

নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ এবং জাতীর কল্যাণে কাজ করতে হবে–মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. আব্দুর রশীদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি। 
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন এর নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের নদীর প্রবল স্রোতের কারণে পাড় ভেঙে বসতবাড়ি, দোকানপাট  নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (১৩জুন) বিকালে সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে বেশ কিছু অংশ জুড়ে ভেঙতে শুরু করেছে।
স্থানীয় দোকানে ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছর আগে নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাটের, ঘাট টিসহ কয়েকটি দোকান নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়।
এর পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বোলাক দেওয়ার পর ভাঙন রোধ হয়।
তবে গত কয়েক দিন ধরে বেশ কিছু অংশ নিয়ে আবারও ভাঙন সৃষ্টি হয়ে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে।
বাজারের একাংশ নদীর কিনার ঘেঁষে অবস্থিত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্ক। আশপাশের কয়েকটি ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো,নৌ থানা, স্কুল, কলেজ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ান সহ শত শত মৎস্য ঘের
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
 স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, “প্রতিবছরই কিছু না কিছু ভাঙে, কিন্তু এবার যেভাবে নদী খেয়ে নিচ্ছে, তাতে আমরা খুব ভয় পাচ্ছি। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বাজারটাই হারিয়ে যাবে।
ভাঙ্গন বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী  প্রকৌশলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ওই স্থানে মাফ জরিপ করেছি, এবং ভাঙ্গন স্থানে বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা ও খোলপাটুয়া নদীরতীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকাবাসী জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

শ্যামনগর নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি। 
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা খালে বৃহস্পতিবার  (১২ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টায়, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকবারা গাজী বাড়ির আয়োজনে চকবারা খালে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৩-টা বাইচ দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৬থেকে ১৮ জন পর্যন্ত।
প্রতিযোগিতায় মাসুম বিল্লাহ মাঝির দল প্রথম স্থান অধিকার করে , এবং রানার্সআপ হয়েছেন জিয়াউর রহমান মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ২৪” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল “
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কাশেম, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলন, আব্দুল মান্নান গাজী, মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, মন্টু গাজী। আব্দুলাহ আল-মামুন ও মাসুদ রানা”র  সার্বিক সহযোগিতায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্বোধনের মধ্যো দিয়ে নৌকা বাইচ টি শুরু হয় বলে জানান আয়োজক কমিটি আব্দুলাহ আল-মামুন।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে বলে আমরা মনে করি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে চকবারা খালে 

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া খালে সোমবার (৯ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডুমুরিয়া যুব সংঘের আয়োজনে
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৪-টি দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৪থেকে ১৫ জন পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিলাল কয়ালের দল, এবং রানার্সআপ হয়েছেন গফুর মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ৩২” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ২৪” এলিডি মনিটর।
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায়
ইউসুফ আলী মল্লিক এর সভাপতিত্বে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম, ইউপি সদস্য জিএম আবিয়ার রহমান, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে।
শ্যামনগরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
এম এ হালিম উপকূলীয় অঞ্চল(শ্যামনগর) প্রতিনিধি।
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা খালে বৃহস্পতিবার  (১২ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টায়, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকবারা গাজী বাড়ির আয়োজনে চকবারা খালে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৩-টা বাইচ দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৬থেকে ১৮ জন পর্যন্ত।
প্রতিযোগিতায় মাসুম বিল্লাহ মাঝির দল প্রথম স্থান অধিকার করে , এবং রানার্সআপ হয়েছেন জিয়াউর রহমান মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ২৪” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল “
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কাশেম, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলন, আব্দুল মান্নান গাজী, মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, মন্টু গাজী। আব্দুলাহ আল-মামুন ও মাসুদ রানা”র  সার্বিক সহযোগিতায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্বোধনের মধ্যো দিয়ে নৌকা বাইচ টি শুরু হয় বলে জানান আয়োজক কমিটি আব্দুলাহ আল-মামুন।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে বলে আমরা মনে করি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাবুরা চকবারা খালে 

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

ঈদ-উল আজহা উদযাপন উপলক্ষে নলতা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে নলতা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম ওসমান এর সভাপতিত্বে ও সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোকলেছুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ৩ আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যশী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আইয়ুব হোসেন (মুকুল)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ রোকুনুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন কৃষকদলের সিনিঃ যুগ্ন আহ্বায়ক মাষ্টার শাহীনুর রহমান, সদস্য সচিব মোঃ হাবিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদ,কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাস এর যুগ্ম আহ্বায়ক তাসকিন আহমেদ, নলতা ইউনিয়ন জাসাস এর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আহাদ আলী প্রমুখ।

কালিগঞ্জের নলতায় কৃষকদলের উদ্যোগে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মৎস্যঘেরে ডাকাতির চেষ্টাকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ জনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে রায়হান গাজী (৩০), পানঘাট গ্রামের শান্তি সরদারের ছেলে প্রশান্ত সরদার (৪২), কোমরপুর গ্রামের শাহাদাত শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩১) ও আশাশুনি উপজেলার কাঁকড়াবন গ্রামের মোস্তফা আকুঞ্জীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬)। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে বন্দকাটি এলাকায় গোঁয়ালঘেসিয়া নদী সংলগ্ন মিজানুর খন্দকারের মৎস্যঘেরে দুর্বৃত্তরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় এলাকাবাসী সংঘবদ্ধভাবে ৪ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম ও লাইলী পারভীন ঘটনাস্থলে যেয়ে আটক ৪ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আটককৃতদের থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

কালিগঞ্জে মৎস্যঘেরে ডাকাতির চেষ্টাকালে আটক ৪জন

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ এর আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. আব্দুর রশীদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ এবং জাতীর কল্যাণে কাজ করতে হবে। দেশকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মধ্যদিয়ে এগিয়ে নিতে হবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। বিগত ১৬টি বছর লাগামহীন দুর্নীতির কারণে দেশ পিছিয়ে গেছে, সেখান থেকে সততা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে বর্তমান সরকার কাজ করছে। কালিগঞ্জ উপজেলা আমার নিজের উপজেলা ঘোষনা দিয়ে প্রধান অতিথি আরও বলেন এখানকার সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহন করতে পারাটা সৌভাগ্যের। সব প্রস্তাবনা আমলে না নিলেও অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্থাপনার উন্নয়নের জন্যে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত কুমার বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফতেমাতুজ যোহরা, লেঃ কর্ণেল কাদির, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান (হাফিজ)। বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাসক খায়রুজ্জামান রঞ্জু ও ছাত্র সমন্বয়ক আমির হামজা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও ছাত্র সমন্বয়কবৃন্দ। এর আগে তিনি উপজেলা ক্যাম্পাসে একটি বকুল গাছের রোপন করেণ।

নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ এবং জাতীর কল্যাণে কাজ করতে হবে–মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. আব্দুর রশীদ

কয়রা প্রতিনিধিঃ

খুলনার কয়রা উপজেলার নাকসা মৌজায় ছোট চাঁদখালী খালে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাকশা গ্রামের মৃত কাসেম আলী সানার পুত্র মোঃ মজিবর রহমান সানা।

মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেলে নিজ বসতবাড়িতে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,নাকসা গ্রামের মোঃ আইবুর আলী মোড়ল এর মোঃ আঃ জলিল মোড়ল নাকসা মৌজার ছোট ছাত্রলীগ খালের একাংশে আওয়ামী লীগ কি নেতাকর্মীদের ছএছায়ায় ভরাট করে পাকা ঘর নির্মাণ করে বসত বাড়ি তৈরি করেছেন। যার ফলে নাকসা মৌজার বিলে জনসাধারণের যাতায়াত ও চাষাবাদের গাড়ি এবং ধান উঠানো পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ নতুন করে স্বাধীন হওয়ার পরে ২৯/০৯/২০২৪ ইং তারিখে অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে আমি গ্রামবাসীর পক্ষে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। বিষয়টি তিনি আমাদী ভূমি অফিস অফিসের তহশীলদার কে তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অবৈধ দখলদারদের তিনদিনের সময় সীমা বেধে দেন এবং স্থাপন অপসারণের নির্দেশ দেন। কিন্তু দখলদাররা স্থাপনা অপসারণ না করলে। বিষয়টি আমি কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানালে তিনি কয়রা সার্ভেয়ারকে সরকারি খাস জায়গার সীমান নির্ধারণের জন্য নির্দেশ দেন। কয়রা সার্ভেয়ার ও আমাদী ভূমি অফিসের তহশীলদারকে উক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরকারি খাস সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করেন এবং লাল পতাকা বসিয়ে দেন। অবৈধ দখল দাররা পেশি শক্তি প্রয়োগ করে সরকারি লাল পতাকা তুলে ফেলে দেন। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অতিবাহিত করলে তিনি আমাদি ভূমি অফিসের তহশীলদারকে পুনরায় সেখানে প্রেরণ করে দুইটা পতাকা বসাইয়া দেন। এবং তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেন। কিন্তু তারা সরকারী সকল নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধ পাকা স্থাপনার বাকি কাজ শুরু করে। এ বিষয়টি পুনরায় আবারো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে পাঠান এবং গ্রাম পুলিশ তাদেরকে কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেন। দখলদাররা কারো কথার তোয়াক্কা না করে সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে কার্যক্রম করছে। সরকারি সম্পত্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কয়রা ছোট চাঁদখালী খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

এম এ হালিম।
নৌকা বাইচ গ্রামবাংলার প্রাণের স্পন্দন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া খালে সোমবার (৯ জুন ২০২৫) বিকাল ৩ টা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডুমুরিয়া যুব সংঘের আয়োজনে
 হাজারো মানুষের ঢল নামে নদীপাড়ে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, বাঁশির সুরের তালে তালে নদীজুড়ে বয়ে চলে ছুটন্ত নৌকার ঢেউ।
নৌকাবাইচে অংশ নেয় ৪-টি দল, প্রতিটি দলের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৪থেকে ১৫ জন পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিলাল কয়ালের দল, এবং রানার্সআপ হয়েছেন গফুর মাঝির দল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ৩২” এলিডি মনিটর  ও দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ২৪” এলিডি মনিটর।
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায়
ইউসুফ আলী মল্লিক এর সভাপতিত্বে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম,
 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম, ইউপি সদস্য জিএম আবিয়ার রহমান, মাষ্টার খায়রুল ইসলাম মিলনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি।
“এই নৌকাবাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক এবং জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি গণ বলেন
 স্থানীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতির প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।অতিথিগণ আরো বলেন এমন আয়োজনে এলাকার প্রতিটি স্থান থেকে করা হলে এলাকার যুব সমাজ অবৈধ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্তি পাবে।

শ্যামনগরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা 

জহিরুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি।
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিকে কেন্দ্র করে “আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম এলাকায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের ছুটি উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
নদী, খাল, বনে ঘেরা এই অনন্য এলাকাটি এখন রীতিমতো পর্যটনের হটস্পট। ছুটির শুরু থেকেই প্রতিদিন শত শত পর্যটক পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণে আসছেন। অনেকেই বাচ্চাদের নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করছেন। ঈদের দিন দুপুর থেকে ভূড় জমতে শুরু করে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, “পবিত্র ঈদের দিনে খাবার দোকানগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।”
অন্যদিকে পর্যটকরা জানান, এই এলাকাটি তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ ও প্রাকৃতিকভাবে আকর্ষণীয়, যা ঈদের ছুটিতে মানসিক প্রশান্তি দেয়।
পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় স্থানীয় প্রশাসন এবং সাতক্ষীরা জোন টুরিস্ট পুলিশ  প্রস্তুত রয়েছে। এলাকায় সাময়িক নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে, “আকাশলীনা” এলাকায় ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। আগামী কয়েক দিন এ ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

শ্যামনগর আকাশলীনা ইকোট্যূরিজম এলাকায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক।

মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ করেছে।

শুক্রবার ৬ জুন ২০২৫ তারিখ রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ ৬ জুন ২০২৫ তারিখ শুক্রবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী এবং বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, বাগেরহাট এর সমন্বয়ে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার শাপলা চত্বর মোড় সংলগ্ন মেসার্স হাসান স্টোরে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা সমমূল্যের ২৫০০ কেজি অবৈধ পলিথিন এবং আনুমানিক ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা সমমূল্যের ৫ লক্ষ মিটার সিমফ্রাই জাল জব্দ করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী এসব সামগ্রী অবৈধ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত অবৈধ পলিথিনসমূহ বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তর এর নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং জব্দকৃত সিমফ্রাই জালসমূহ পরিবেশবান্ধব উপায়ে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এই অভিযান চলমান আছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড