শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে এ প্রকল্পের আওতাধীন চাঁদনীমূখা স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাসান ব্রাদার্স লিমিটেড,
এ কাজ কিছুটা হলেও পরবর্তীতে স্থানীয়দের বাঁধার মূখে পড়ে স্লুইসগেটের কাজ বন্ধ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে যেয়ে দেখাযায়, গত ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর,জিজাইন অনুযায়ী মাটি খননের কাজ ও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তবে স্থানীয় কামরুল ইসলাম বলেন পূর্বের স্লুইসগেট থেকে ৫১ ফুট পূর্ব দিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন গেটের কাজ করেছে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান এ্যন্ড ব্রাদার্স। সে জন্য আমাদের পৈত্রিক ভিটার পাশদিয়ে যাচ্ছে, বিধায় আমরা স্লুইসগেটের কাজ করতে নিষেধ করেছি।
পানি উন্নায়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায় গাবুরা ও চাঁদনীমূখা দুই প্যাকেজের কাজের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে ২০২৫ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহের ভিতরে কাজ সম্পূর্ন করার কথা থাকলে ও তা পেরে উঠা যাচ্ছে না স্থানীয়দের বাঁধার কারনে।
স্থানীয়রা জানান সরকারী জায়গায় স্লুইসগেট নির্মাণ জন্য যে ডিজাইনে খনন করা হয়েছে, এই ডিজাইন এ কাজ করলে রেকর্ডীয় জায়গায় সহ বাড়িঘর পানি নিষ্কাশনের খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই পরিবারের পক্ষে শাহাজালাল মোড়ল বাদি হয়ে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখতো অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাযায়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান অন্ড ব্রাদার্স প্রতিনিধি মোরশেদ আলম বলেন আমাদের পানি উন্নয় বোর্ড থেকে যে ডিজাইন দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা সেই অনুযারী কাজ করছি। আমাদের ডিজাইনের বাহিরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চাঁদনীমূখা স্লুইসগেট দিয়ে পানি সরবরাহ করার কারনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপকার হয়ে থাকে,
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব জায়গায় মাটি টেস্ট করে এই স্লুইসগেট নির্মাণ হচ্ছে , এখানে আমাকে জড়িয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভিত্তিহিন নিউজ করাইয়ে আমার সম্মান ক্ষুর্ণ করছেন। তিনি আরো বলেন সরকারি ভাবে এ গেট নির্মাণ করছেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ, তবে আমাকে নিয়ে একশ্রেণীর মানুষ নানান কথা তুলছেন কেনো আমি ইউনিয়নের উন্নয়নের সার্থে(চেয়ারম্যান) সব সময় জন সাধারণের পক্ষে কথা বলে থাকি।
পানি উন্নায়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পুর)পাউবো,ইমরান সরদার বলেন আমরা ইউ, পি,চেয়ারম্যান সহ স্থানীয়দের নিয়ে স্থান ঠিক করছিলাম। স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়িঘর উপর দিয়ে পানি যাওয়ার কথা জানালে, আমরা তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কংক্রিটের ব্লোগ দিয়ে বাঁধ দিয়ে দেওয়ার প্লান করেছি, যেন কোন প্রকার জন বসতিদের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। তিনি আরো বলেন আমরা চাইনা বসতি মানুষের ক্ষতি হোক, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কে বলে দিয়েছি, আর সে ব্যাপারে আমরা খেয়াল রাখবো,তাছাড়া স্থানীয় ভাবে তাদের সাথে বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।