কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :
দুস্থ নারীদের প্রতিটি কার্ডে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করে সরকার। তবে অধিকাংশ কার্ডধারী পাচ্ছেন না বরাদ্দের চাল। অনেকে জানেনও না তাদের নামে সহায়তার কার্ড হয়েছে। অথচ এসব চাল প্রতি মাসে ঠিকই তুলে নেওয়া হচ্ছে।
এমন অভিযোগ উঠেছে খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আঃ আজিজ সরদারের বিরুদ্ধে । হতদরিদ্র তালিকাভুক্ত হামিদা বেগম (৩০) নামের এক নারীর ভিডব্লিউবি চক্রের (৩০ কেজি কার্ডের) চাউল আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী হামিদা বেগম চাউল উদ্ধার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভারনারেবল উইমেনস বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির মাধ্যমে দুস্থ নারীদের খাদ্য সহায়তার লক্ষ্যে অনলাইন ও পরিষদের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হয়।আমি
অনলাইনে আবেদনের পর যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের তালিকা ভুক্ত হয়েছি সেটা আমি জানতাম না । কিন্তু মেম্বার আঃ আজিজ সরদার আমাদের চাউল প্রদান না করে আমাদের সম্পূর্ণ অগোচরে তিনি সমূদয় চাউল উওলোন করে আত্মসাৎ করেছেন। আমাদের নামে কোন তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে কিনা আমরা ইউপির সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন তোমাদের নামে কোন ৩০ কেজি চাউলের কার্ডভুক্ত করা হয়নি। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি আমাদের নামে ৩০ কেজি চাউলের কার্ড আছে এবং পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্য্যলয় থেকে তালিকা বের করে দেখতে পাই সেখানে আমার নাম আছে। কিন্তু আমার সব চাউল ইউপি সদস্য আঃ আজিজ সরদার পরিকল্পিতভাবে আত্মসাৎ করেছেন।
শুধু আজিজ মেম্বারই নন, পরিষদের অধিকাংশ কার্ড জনপ্রতিনিধি ও কালোবাজারিদের কবজায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে নাম থাকলেও চাল পাচ্ছেন না অনেকেই।
এ বিষয়ে জানতে আমাদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য মোঃ আঃ আজিজ সরদারের কাছে জানতে তার ব্যাবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.