খুলনা প্রতিনিধি
মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে হেয় করার ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনার কয়রা উপজেলার বায়লারহারানিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম সানা। (২৬/১১/২০২৪) তারিখে খুলনা প্রেসক্লাব হলরুমে সকাল ১১ ঘটিকায় লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। আমি ২০০৪ সাল থেকে পাতিয়াখালী বন্ধ জলমহল নিয়ে চিংড়ি চাষ করে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বানিজ্য করেছিলাম। কিন্তু ২০২১ সালে চিংড়ি মহল প্রথা রদ হলে উপজেলা প্রশাসন জলমহাল সেল দেয়। এর প্রতিবাদে আমি হইকোর্টে রিট পিটিশন করি,যাহার নং-৩১৪৮/২১। হাইকোর্ট স্টে অর্ডার দেয়। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন হাইকোর্ট এ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কিভাবে ইজারা দেয়া যায়? এবং জলমহলের নীতিমাল অনুযায়ী ২০ নম্বর কলামে স্পষ্ট বলা আছে চৈত্র মাসের ১৫ তারিখের মধ্য ২ বছরের সম্পূর্ন ইজারা পরিশোধ না করলে, জামানাত বাজেয়াপ্তসহ ইজারা বাতিল বলে গন্য হবে। অথচ তাহারা ইজারার টাকা গত ৫ ই নভেম্বর বাংলা ১৫ কার্তিক জমা দিয়েছে।যেটি জলমহলের নীতিমালা বহির্ভূত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন ২০২৩ সালে হাইকোর্টের স্টে ভ্যাকেট হলে আমি সুপীম কোর্ট আপীল করিলে সেটি শুনানীর জন্য ২৬. ০৫. ২৪ এ তারিখ নির্ধারিত হলেও শুনানী হয়নি। এর মধ্যে উপজেলা প্রশাসন জলমহাল টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি দিলে বাগালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ গাজীর ভাইপো যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম অনিয়ম করে জলমহলটির টেন্ডার নেয়। গত ইং ২৩/১১/২৪ সকাল আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকায় জাহাঙ্গীর, সাব্বিরসহ আরও ১৫-২০ জন লোক নিয়া আমার খালে দখল নিতে আসে এবং আমার বাড়িরে সামনে এসে দেশীও অস্ত্র নিয়ে হুমকী-ধামকি দিয়ে বলে ৩ দিনের মধ্যে খাল ছাড়া ও আমার জীবন নাশের হুমকী দেয়। তখন আমি আমার লাইসেন্সকৃত বন্দুক নিয়ে বাড়ির বাইরে আসি এবং তাদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। আমার নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আমার নামীয় লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি কাছে রেখেছিলাম তাছাড়া কিছু নই। কিন্তু কয়রাতে এখনো আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্যে আমার মত বিএনপি থেকে বারবার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হেনস্তা হতে হচ্ছে।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.