উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
ভারতে পাঠানোর নামে সীমান্তে নিয়ে তিশোর্ধ্ব বয়সী এক নারীকে গনধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১০ নভেম্বর) দিনগত রাতে ঘটনাটি ঘটে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী সীমান্তের সাপখালী নামীয় এলাকায়। এসময় মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই নারীকে সোমবার ভোরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
সুত্র মতে, যশোরের বাসিন্দা ওই নারীকে ১৪হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভারতে পাঠানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় কৈখালী সীমান্তের চোরকারবারীরা। সাতক্ষীরার নাজিম ও ভেটখালীর ফরিদের মধ্যস্থতায় কৈখালী কয়ালপাড়ার মামুন ও রফিকুল তাকে নিরাপদে ভারতে পার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সূত্রটির দাবি, রোববার সন্ধ্যায় মোটর সাইকেলযোগে ওই নারী কৈখালীতে পৌছায়। পরবর্তীতে রাত গভীর হলে ভারতে পাঠানোর কথা বলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাকে সাপখালীর কালভার্ট ও মল্লিপাড়া সংলগ্ন এক পুকুরের পাশে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অবৈধভাবে পারাপারে জড়িত চক্রের অন্তত ছয় সদস্য ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার শংকায় ধর্ষণের সাথে অভিযুক্তরা দাউদ আলী নামের পরিচিত এক ব্যক্তিকে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা সাতক্ষীরা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দিলে কৌশলে একটি ব্যক্তিগত গাড়ীযোগে তাকে সাতক্ষীরা নেওয়া হয়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনাকে পুঁজি করে অর্থ বাণিজ্যে মেতেছে। ধর্ষণ মামলার আসামী করার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ওই চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের থেকে মোটা অংকের অর্থ দাবি করছে। তবে ঘটনার শিকার ওই নারী ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ করলেও অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায় সীমান্তের চোরাচালানে জড়িত এ চক্রটি প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা নানা বয়সী নারী পুরুষ ও শিশুদের অবৈধ পথে ভারতে পারাপার করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্ত দিয়ে পার হওয়া এসব নারী উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনা প্রসংগে শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান জানান, এমন বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মামুন কয়াল জানান, তিনি এসব ঘটনার সাথে জড়িত নন। চোরাচালানে জড়িত হলেও নারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন না বলেও তার দাবি
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.