এই অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় সফরে কর্মএলাকার মুন্সিগঞ্জ, শ্যামনগর সদর, বুড়িগোযালিনী, পদ্মপুকুর, রমজাননগর ও ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের কৃষি পাঠশালার ১৫ জন উদ্যোগ গ্রহনকারী ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের অল্পনা রানী মিস্ত্রির ধুমঘাট কৃষিপ্রতিবেশ বিদ্যা শিখন কেন্দ্র/ কৃষি পাঠশালা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনে তারা প্রথমত অল্পনা রানি মিস্ত্রির কৃষি পাঠশালাতে তাঁর স্থায়িত্বশীল কৃষি, ফসল ব্যবস্থাপনা, অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্রের প্লট, বীজ সংরক্ষণ, প্রাণী সম্পদ পালন, ভার্মি কম্পোস্ট ও গর্ত কম্পোস্ট, হাজোল, পরিবেশ বান্ধব চুলা, শিম গবেষণা, ঝাল গবেষণা, বেগুন গবেষণা, বস্তা পদ্ধতিতে ফসল চাষ, ধানের জাত সংরক্ষণ প্লট, পুকুরে মাচ চাষ, পুকুর পাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ এবং তার অর্জিত বিভিন্ন পুরস্কার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা অল্পনা রানীর কাছে তার এ উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চান। তিনি কীভাবে এই কাজ কবে এবং কিভাবে শুরু করেছিলেন, কিভাবে ফসল চাষ করেন, বীজ সংরক্ষণ কিভাবে করেন, ফসল পরিচর্যা কিভাবে করেন, বারোমাস কি, কি সবজি চাষ করেন, অচাষকৃত এসব শাক কুথা থেকে সংগ্রহ করেছেন, সংগঠনের কয়জন সদস্য, সংগঠনে কি, কি কাজ করেন, এরকম নানান ধরনের বিষয় জানতে চান এবং অল্পনা রানী একে একে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
অল্পনা রানী বলেন, ‘নিজের ইচ্ছা শক্তি থাকলে কোন কাজ পিছিয়ে থাকে না।এক সময় আমার পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ ছিলো আজ সেখান থেকে বের হতে পেরেছি। আমি কাজ করতাম কিন্তু তার কোন মূল্যায়ন হয়নি এর পর বারসিকের সাথে যুক্ত হয়ে তারা যে আমার কাজকে সম্মান করে সেটা দেখে আমার কাজের গতিও বৃদ্ধি পায় আর সেখান থেকে আমার আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সম্মান মর্যাদা ও পুরুস্কার সব কিছু পেয়েছি এই কৃষি কাজ করে।আমরা সকলে এক পথের পথিক আমি চাই আমার মত আপনারা সকলেই এগিয়ে যান।
পরিদর্শনে অংগ্রহনকারীরা শান্তিরঞ্জন, কেরামত আলি, বনশ্রী, গংগা রানীরা তাদের অনুভূতি ব্যত্ত করে জানান, এটি সত্যিই একটা পাঠশালা এখানে অনেক কিছূ শেখার আছে। নানান ধরনরে বৈচিত্র্যে ভরা অল্পনা রানীর বাড়ি। আমরাও তাকে অনুকরন করতে চাই।
আয়োজন কারী বারসিক কর্মকর্তারা জানান, শ্যামনগর উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের ১৬ টি বাড়িকে আমরা একটা করে পাঠশালা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যেখানে কৃষি প্রতিবেশ বিদ্যা চর্চা থাকবে। সাথে নানান ধরনরে বৈচিত্র্য থাকবে। যে বাড়িটি শুধু বাড়ি নই একটা একটা শিখন কেন্দ্র। সে লক্ষ্যে আমাদের ধারাবাহিক কর্মসুচি চলমান রয়েছে।